সাতক্ষীরা নলতায় ইনজেকশন প্রয়োগে স্ত্রী হত্যা: পল্লীচিকিৎসক আটক
নলতা প্রতিনিধি:
ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগে দ্বিতীয় স্ত্রী এক সন্তানের জননী আমেনাকে হত্যা করেছে পল্লীচিকিৎসক স্বামী।
ঘটনাটি (১১ মার্চ) বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার ইন্দ্রনগর গ্রামে ঘটে।
এ ঘটনায় শ্যামনগরের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে নলতার কাজলা গ্রামে ঘরজামায় মনিরুল ইসলাম, নওশের মেম্বরের কন্যা মনিরুলের ১ম স্ত্রী জান্নাতুল বেগম ও প্রথম স্ত্রীর ভাই নওশেরর পুত্র আরিজুল ইসলামকে আসামী করে কালিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনার রাতে কোয়াক ডাক্তার মনিরুলকে আটক করেছে পুলিশ।
ডনহতের পিতা নুরুজ্জামান বলেন, গত ২ বছর আগে নলতার কাজলা গ্রামের ঘর জামায় কোয়াক ডাক্তার মনিরুলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ে হয় ইন্দ্রনগর গ্রামের নুরুজ্জামানের কন্য আমেনার সাথে। কিন্তু স্বামী মনিরুল আমেনাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয়ায় মনিরুল, প্রথম স্ত্রী জান্নাতুল
বেগম ও শ্যালক আরিজুলের সাথে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আমেনার সাথে স্বামী মনিরুল পূনরায় ভাল সম্পর্ক গোড়ে তুলে গত জানুয়ারি মাসে একটা পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে তার কোন ভরণ-পোষন দিতনা। আমেনার স্থন থেকে আড়াই মাসের পুত্র সন্তানের জন্য ঠিক মত খাবার না আসায় আমেনা মনিরুলকে খবর দিলে গত ০৯ তারিখে কোয়াক ডাক্তার মনিরুল আমেনার বাবার বাড়িতে গিয়ে কোন কোম্পানী প্যাকিং ছাড়া নাম স্বর্বস্বহীন একটি ইনজেশন পুশ করে। ইনজেকশন পুশ করার পরের দিন অর্থাৎ ১০ তারিখে অসুস্থ্য হয়ে গেলে দ্রুত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে আমেনাকে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘক্ষণ মৃত্যুও সাথে পাঞ্জা লড়ে গতকাল (১১ মার্চ) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় মৃত্যুবরণ করে। ঘটনাটিআমেনার মৃতদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্যে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবিষয়ে কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেছেন।