ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে কাউন্সিলর
নিউজ ডেস্ক:
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সাত্তারের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) আদালতের বিচারিক হাকিম মো. গোলাম মাহবুব খান রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কুমিল্লার চৌয়ারা এলাকায় জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে গোলাম জিলানী হত্যা মামলায় গ্রেফতার কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার ৯ নম্বর আমলি আদালতে সাত্তারকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন দেলোয়ার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান।
২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে আদালতের বিচারিক হাকিম মো. গোলাম মাহবুব খান গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া আসামি আনোয়ার হোসেন। গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে সাত্তারকে গ্রেফতার করে পিবিআই। ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাত্তার কুমিল্লার চৌয়ারা এলাকায় আলোচিত জিল্লুর রহমান চৌধুরী হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি।
এদিকে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শামবক্সি (ভল্লবপুর) এলাকায় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে করে এসে ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ারকে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই শাহাদাত হোসেন নয়ন বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ওই গ্রামের রেজাউল করিম ও কাউছারসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। সদর দক্ষিণ মডেল থানার পর বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।
২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পিবিআইয়ের সদস্যরা এ মামলায় সদর দক্ষিণ থানার নোয়াগ্রাম গ্রামের সফিকুর রহমান রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরে আনোয়ার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, ‘দেলোয়ারকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার। তার পরিকল্পনায় দেলোয়ারকে খুন করা হয়েছে।’
পিবিআই পরিদর্শক মো.মতিউর রহমান বলেন, কাউন্সিলর সাত্তারকে দেলোয়ার হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের মঞ্জুর করেছেন।