আশাশুনির প্রতাপনগরের ঋষি সম্প্রদায়ের ভিটার উপর দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া গ্রামের ১১টি ঋষি পরিবারসহ ১৮টি পরিবারকে কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়ে ও পূর্ণবাসন না করে তাদের বসতভিটার উপর দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিিিপ পেশ করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা কালেক্টরেট অফিস চত্বরে প্রতাপনগর ইউনিয়নবাসি ও বাংলাদেশ দলিত প য়েত ফোরাম সাতক্ষীরা শাখা এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।
মানবাধিকার সংগঠণ শারী ও স্বদেশ এর সহযোগতিায় স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আনিসুর রহিম, সদস্য সচীব অ্যাড, আবুল কালাম আজাদ, মানবাধিকার কর্মী অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, রঘুনাথ খাঁ, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, জেলা জাসদের সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, সিপিবি’র সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক আবুল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, ক্ষতিগ্রস্ত সুকুমার দাস, মিলন বিশ্বাস,ভূমিহীন নেতা ক্যাপ্টেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত বছরের ২০ মে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত ও ২২ আগষ্ট জলোচ্ছ¡াসে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের কুড়িকাহুনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ভেড়ীবাঁধ ভেঙে বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এ সময় ওই এলাকার ১১টি দলিত পরিবারসহ ১৮টি পরিবারের চাষের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে সরকারি কর্মকর্তারা তাদের বসতভিটা বাইরে রেখে বাঁধ সংস্কারের নকশা তৈরি করেন। কিন্তু স¤প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ওই নকশা উপেক্ষা করে কোনপ্রকার ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণবাসন ছাড়াই ওইসব পরিবারের বসতভিটায় থাকা গাছগাছালি কেটে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ওইসব পরিবারগুলোকে রাস্তায় বসবাস করা ছাড়া উপায় থাকবে না। ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণবাসন ব্যতীত ১৮টি পরিবারের বসতভিটার উপর দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলমান রাখলে পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার পাশাপাশি আগামি রোববার পাউবোর আশাশুনি অফিস ঘেরাও করা হবে।
মানববন্ধন শেষে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ তানজিলুর রহমানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গণফোরামের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল।