যেসব গুণে দেশে তেঁতুলের বিচি আমদানি হচ্ছে
ডেস্ক নিউজ:
তেঁতুলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি অবগত। নানা পুষ্টিগুণে ভরা তেঁতুল নানা রোগের চিকিৎসা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জনে খাওয়া হয়। এবার তেঁতুলের বিচির গুণের জন্য ভারত থেকে ৯০ মেট্রিক টন তেঁতুলের বিচি বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রতি টন তেঁতুলের বিচি ২০০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হয়েছে।
তেঁতুলের বিচি আমদানিকারক সত্যজিৎ দাস জানান, বাংলাদেশে মূলত পাটকল ও কাপড়ের মিলে সুতা রং করার কাজে তেঁতুল বিচি ব্যবহার করা হয়। সুতার রং টেকসই করার কাজে বহুদিন ধরেই তেঁতুল বিচি ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মশার কয়েল তৈরির কাজে কাঁচামাল হিসেবে তেঁতুল বিচির জুড়ি নেই। দেশে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে স্থানীয় উদ্যোক্তারা এখন কয়েল তৈরি করছেন, তারাই আমদানিকৃত তেঁতুলের বিচির বড় ক্রেতা।
এদিকে শিল্প উৎপাদন কেন্দ্রিক প্রয়োজনের বাইরে তেঁতুল বিচি ঔষধি গুণের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শামীম শামছি জানান, তেঁতুল বিচি ইউনানি, আয়ুর্বেদ, হোমিও ও অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
তিনি আরো জানান, শুষ্ক চোখের চিকিৎসায় যে ড্রপ তৈরি হয়, তাতে তেঁতুল বিচি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া পাকস্থলীর গোলযোগ, লিভার ও গল-ব্লাডারের সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে তেঁতুল বিচি।
উদ্ভিদবিজ্ঞানের এ অধ্যাপন জানান, গর্ভকালীন বমিভাব ও মাথাঘোরার সমস্যায় তেঁতুল বিচির শরবত উপকারী। তেঁতুল বিচি গরম পানিতে ফুটিয়ে এক ধরণের আঠা তৈরি করা হয়, যা ছবি আকার কাজে ব্যবহার করা হয়।
সূত্র- বিবিসি বাংলা।