মানবদেহের অসংখ্য রোগের প্রতিষেধক গম গাছের রস
চিকিৎসা ডেস্ক:
সুস্থতা প্রত্যেকটি মানুষেরই কাম্য। তাইতো সুস্থ থাকতে মানুষ নানা উপায় অবলম্বন করেন। ছোট থেকে বড় যেকোনো অসুখে চিকিৎসকের শরণাপন্নও হয়ে থাকেন অনেকেই। এছাড়া রোগে যাতে আক্রান্ত হতে না হয় সেজন্য পুষ্টিকর খাবারও গ্রহণ করেন।
জানেন কি, আমাদের চারপাশেই রয়েছে এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান যা মানব দেহকে রাখবে অনেকটাই সুস্থ। আর সেই জাদুকরী উপাদানটি হচ্ছে হুইটগ্রাস বা গমের কচি চারার রস। এটি মানব দেহের অনেক রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। গমের মতো গম গাছের রসেরও রয়েছে নানা উপকারিতা।
চলুন প্রথমে জেনে নেয়া যাক গম গাছের রস তৈরির পদ্ধতি-
গমের কচি চারাগুলো নিন। চারাগুলো দুই ফালি করে নিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার চারাগুলো জুসারে নি্যে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। বাড়তি কিছুই এর সঙ্গে মেশাবেন না। এবার একটি ছাকনি দিয়ে রস ভালোভাবে ছেঁকে নিন। এ রস ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। উপকার পেতে প্রতিদিন খালি পেটে পান করুন এ রস।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক মানবদেহের অসংখ্য রোগের প্রতিষেধক হিসেবে গম গাছের রসের উপকারীতা-
>> গমের চারার রস মানেই সতেজ ক্লোরোফিল। এ প্রাকৃতিক গাছে আছে ভিটামিন এ, সি, ই, বি কমপেক্স ও কে। এছাড়া প্রোটিন ও ১৭ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে এ চারায়। প্রতি ২৮ গ্রাম রসে রয়েছে ১ গ্রাম প্রোটিন। ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, আলসার, কানের জ্বালাপোড়া, ত্বকের পুনর্গঠন ইত্যাদির চিকিৎসায় ক্লোরোফিল বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
>> এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিসের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিডনিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এটি। সাইনোসাইটিসে অত্যন্ত উপকারী।
>> এতে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম আছে। যা দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য। এছাড়া চারা গমের রস হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। শরীরে জমে থাকা নানা ওষুধের ক্ষতিকারক অবশিষ্টাংশও নির্মূল করতে পারে।
>> এ রসের ৭০-৭৫ ভাগই হলো বিশুদ্ধ ক্লোরোফিল। ক্লোরোফিলে রয়েছে অনেক উপকারী উৎসেচক। এগুলো কোষের সুপার অক্সাইড র্যাডিকেলগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। ফলে বার্ধক্যজনিত ছাপ শরীরে সহজে বাসা বাঁধতে পারে না। ক্লোরোফিল প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়ালও। শরীরের ভেতরে ও বাইরে তা অপকারী ব্যাক্টেরিয়া নির্মূল করে। ক্লোরোফিল তৈরি হয় আলোর মাধ্যমে। এখন পর্যন্ত এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।