শার্শায় ছিনতাই হওয়া৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, মোবাইল ও মোটরসাইকেল উদ্ধার
আঃজলিল,শার্শা যশোর:
যশোরের শার্শায় ৭ লাখ ৬৪ হাজার ছিনতাই হওয়া টাকা মোবাইল উদ্ধার। ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত মটরসাইকেল, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার।
গতইং ২৪/০২/২০২১ তারিখ বেলা ১১.৪৫ ঘটকার সময় শার্শা থানাধীন শার্শা মাঠপাড়া সাকিনে যশোর টু বেনাপোল গামী মহাসড়কের উপর নুর হোসেন এর বাড়ীর সামনে মোঃ শিমুল হোসেন টুটুল, পিতা খলিলুর রহমান, সাং- বাকুলিয়া, থানা- ঝিকরগাছা, জেলা- যশোর নাভারন ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক হতে ১৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উত্তোলন করে ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৬ লাখ টাকা জমা দিয়ে বাকী ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে মটর সাইকেল যোগে ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ৩ জন পালসার মটরসাইকেল যোগে টুটুলের গতিরোধ করে মারপিট করে তার নিকট থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এই ঘটনা সংক্রান্তে শার্শা থানার মামলা নং ৪৩(২)২০২১ রুজু করা হয়। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ার জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম, পিপিএম মহোদয় শার্শা থানা ও ডিবি পুলিশকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জনাব সালাহ উদ্দীন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক সার্কেল জনাব গোলাম রব্বানী শেখ দের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ওসি ডিবি সোমেন দাশের নেতৃত্বে এসআই শামীম হোসেন সঙ্গীয় ডিবির একটি চৌকশ টিম ও শার্শা থানা পুলিশ ২৫/০২/২০১২১ তারিখ রাত ০১.০০ থেকে ০৪.০০ ঘটিকার মধ্যে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবেড়বেড় ও বড় আচড়া এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। সে সময় তাদের হেফাজত হইতে ছিনতাই হওয়া ৭৮০০০০ টাকার মধ্যে ৭৬৪০০০ টাকা সুজনের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি নোমানের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়। ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১ পালসার মটর সাইকেল ( রেজিঃ বিহীন) জব্দ হয়।
তাদেরকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাদের নিকট অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে মর্মে স্বীকার করলে পুনরায় ২৫/০২/২০২১ তারিখ বেলা ১২.৩০ ঘটিকার সময় ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবেরবেড় এলাজা থেকে আসামী নোমানের বসত বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী সুজনের দেখানো ও নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে ১টি ওয়ান স্যুটার গান জব্দ করা হয়।
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্তে বেনাপোল পোর্ট থানায় এসআই শামীম হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এহাজার দায়ের করেন। এ সংক্রান্তে পৃথক মামলা রুজু হইয়াছে।
আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে তারা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব শম্পা বসুর আদালতে কাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। তাদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অস্ত্র মামলায় রিমান্ডের আবেদন করা হইয়াছে।
Please follow and like us: