পাইকগাছায় আবারও বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুলের মৃত্যু
পাইকগাছায় একই স্থানে আবারও বিরল প্রজাতির একটি গন্ধগোকুলের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার গদাইপুরে মেইন সড়কের উপর বুধবার ভোরে গন্ধগোকুলটিকে মরা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা গন্ধগোকুলটিকে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ মার্চ সকালে একই স্থানে একটি গন্ধগোকুলের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা ধারণা করছেন গাছ থেকে পাকা রাস্তার উপর পড়ে গিয়ে বা গাড়ীর সাথে ধাক্কা লেগে গন্ধগোকুলটির মৃত্যু হতে পারে।
জানা গেছে, গন্ধগোকুল এক বিচিত্র প্রার্থী। এটি নিশাচর ও স্তন্যপায়ী প্রাণি। বাংলাদেশে ৫টি প্রজাতির গন্ধগোকুল রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। এরা নির্জন পরিবেশে একাকি থাকতে পছন্দ করে। সাধারণ গভীর রাতে শিকার ও খাবারের সন্ধ্যানে বের হয়। এরা কলা, আম, আনারস, লিচুসহ বিভিন্ন ফল, বীজ, ইদুর, ছোট পাখি, ছোট সাপ, টিকটিকি, ব্যাঙ, শামুক ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে।
গন্ধগোকুলের শরীর থেকে যে গন্ধ বের হয় তা দিয়েই প্রকাশ পায় তার মন মেজাজের অবস্থা। সে যখন ফুরফুরে মেজাজে থাকে বা প্রজনন সময়ে পুরুষ সঙ্গী খোজে তখন তার শরীর থেকে আতপ চালের গন্ধ বের হয়। সাধারণত তার শরীর থেকে পোলওয়ের চালের গন্ধ বের হয়। আর যখন সে ভয়পায় বা ভয় দেখাতে চায় তখন তার শরীর থেকে পঁচা গন্ধ বের হয়। শরীরের গন্ধ দিয়ে মেজাজ মর্জি বোঝায় বলেই এই প্রাণিটির নাম গন্ধগোকুল।
বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গন্ধগোকুল দেখতে অনেকটা বিড়ালের মতো। তবে লম্বা শরীর ও লেজ লম্বা। শরীরের লোম অনেকটা বাদামী বর্ণের। আর সারি সারি কালো ছোপ ছোপ দাগ আছে। আরার কোন প্রজাতির লেজের দিকে কালোর মাঝে হালকা সাদা দাগ রয়েছে। এরা লম্বায় প্রায় ১৬ থেকে ৩৪ ইঞ্চি লম্বা হবে পারে। বাংলাদেশে এরা বিলুপ্তি প্রজাতি ও বিপন্ন অবস্থায় আছে।