অসুস্থ বাবার সু -চিকিৎসার জন্য সবার কাছে আর্থিক ভাবে সাহায্যের আবেদন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রত্যন্ত নাটানা গ্রামে জন্ম আমার।মা,বাবা,দুই ভাই ও ঠাকুর মা কে নিয়ে আমাদের পরিবার। পরিবারের বড় ছেলে আমি।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র। ছোট ভাই স্বপন শীল এবার এইচ,এস,সি ক্যান্ডিডেট।পিতা নরেন শীল।করোনা মহামারীর অর্থাত,২০২০ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকের ঘটনা।বাবা রাতে ২ টার দিকে কমিশনে বাগদা মাছ ধরতে যেত।এক দিন রাত ২ টার পর বাবা বাগদা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় আমাদের পথের পাশে নারকেল গাছ থেকে নারকেল বা ঠিল পড়ার মত কি যেন বাবার সামনে পড়ে,তাতে করে বাবা চমকে ওঠে।বাবার তখন মনে পড়ে, পাশের বাড়ির এক প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে বিষ পান করে মারা গিয়েছিল তখনি তার কথা মনে পড়ে। ওখান থেকে ভয় পাওয়াতে বাবার ধীরে ধীরে জ্বর আসে।তখন স্বাভাবিক মানুষের মত চলাফেরা করতে পারত।বাবা গ্রাম ডাক্তার সুব্রত মল্লিকের কাছ থেকে মেডিসিন সেবন করেন।মেডিসিন খাওয়ার পরে কয়েক ঘন্টা ভাল থাকে,,আবার জ্বর চলে আসে।
এ ভাবে বাবা দিন দিন বেশি অসুস্হ হয়ে যায়।বাবা বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে না।মা এক দিন বাবার কাছে জিজ্ঞেস করছে যে,তোমার কোথা ও থেকে কোন দিন ভয় পেয়েছিলে। বাবা কিছু ক্ষন পরে আগের ঘটনা গুলো বলল।তার পরে বিভিন্ন কবিরাজ দ্বারা ঝাঠ,ফু করা হল তাতে ও কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।যখন খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে।স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে।খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়।তখনি ডাক্তার সুব্রত মল্লিকের দ্বারা স্যালাইন দেয়া হয়।স্যালাইন শেষ হওয়ার পরে ওই দিন রাত ১০ টার দিকে ৩-৪ বার গাল দিয়ে প্রচুর রক্ত বাইর হয়।বাবার গাল দিয়ে হেক্কা টা ছিল ২৪ ঘন্টার ভিতর ১৮ ঘন্টার মত হেক্কা যেটি কে আমরা বলি চলিত ভাষায় হেক্কর।বাড়িতে কান্নাকাটি পড়ে গেল।সবাই খুব টেনশনের ভিতর দিয়ে চলছিলাম।ওই দিন রাত ১২ টার পর সাতক্ষীরা সরকারী মেডিকেল হাসপাতালে এড়মিট করি।দিনটি ছিল ৩ জানুয়ারী।ভর্তির পরের দিন সকাল ১১ টার দিকে সব পরিক্ষা হল বাদ থাকল কফ পরিক্ষা। ৫ জানুয়ারী বাবা কে খালি পটে এবং ভরা পেটে কফ পরিক্ষা করলেন অবন্তীকা পাল দোলা।
বাবার সব রির্পোট বের হলো।মেডিকেল ভাষায় বাবার রিপোর্ট বলছে, বাবার হার্টের হাড়ে ক্ষত হয়েছে,কিডনিতে সমস্যা দেখা দিছে,ডায়াবেটিস ধরা পড়ছে। সাতক্ষীরা সরকারী মেডিকেল হাসপাতালের মেডিসিন ডাক্তার জসিম টিটমেন করতে।যখন বাবা স্বাভাবিক হয় তখন হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দেয়,সাথে ৩ মাসের ঔষধ ঔষধ লিখে দেয়।বাবা বাসাতে এসে ঔষধ খেতে থাকলে,,ঔষধের খাওয়ার প্রভাবে তখন স্বাভাবিক ছিল না।এমনত অবস্থায় আমরা ঔষধ খাওয়ানে বন্ধ করে দেয়। মেড়িকেলে ডাক্তারের কাছে ফোন দিয়ে সব কিছু বলি কিন্তু আবার ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে।আমরা বাবা কে ভর্তি না করে তাকে খুলনা জেলার আমাদী ইউনিয়নের হিদয় প্যাথলজিক্যাল এ আবার পরিক্ষা করায়।সেখান কার ড়াক্তার একই কথা বলে। ড়াক্তার আর ও জানায় যে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না করালে এখান থেকে ১ থেকে ২ বছর পর খুব ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে।পরিবারে সবাই আগের মত সেই হাসি খুশি নেই।বাবা কে নিয়ে সবাই কান্না করে।এ দিকে আমার জীবন অন্য দিকে ছোট ভাই স্বপন ও ফ্যামিলির সবাই কে নিয়ে আমরা চিন্তার ভিতর দিন যাচ্ছে। প্রতি টা সন্তানের কাছে বাবা হচ্ছে তার ভরসা ও আস্হা।প্রতি টা ছেলে জানে বাবা,মা কি জিনিস।বাবার তুলনা হয় না।বাবার কষ্ট আমাকে সব সময় তাড়া করে বেড়ায়।আমি আমার বাবা কে সুচিকিৎসার মাধ্যমে বাচাতে চায়।বাবার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন যা ফ্যামিলি থেকে সব কিছু ম্যানেজ করতে পারছে না।তাই আমার বাবা কে আপনার বাবা ভেবে আসেন আমার বাবার পাশে এসে দাড়ান।আমরা ইচ্ছা করলে একটা বাবা কে আবার নতুন করে জীবন দিতে পারি।যার ফলে ৫ টা জীবন বাচবে।