ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ সফরের জন্য যখন উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড দল ঘোষণা করলো, অনেক দেশীয় সমর্থকই নাক সিটকেছেন। ক্যারিবীয়দের ‘বি’ টিম বা তর্কসাপেক্ষে অনেকে ‘সি’ টিমের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে হবে ভেবে অনেকের নাকি সম্মান চলে যাচ্ছিল। কিন্তু সেই দুর্বল দলের বিপক্ষেই টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২৩১ রান। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ২১৩ রানে অল আউট হয়েছে স্বাগতিকরা। ১৭ রানে হেরে পেয়েছে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ। এর আগে সিরিজের প্রথম টেস্ট ৩ উইকেটে হেরেছিল মুমিনুল হকের দল। মূলত রাকিম কর্নওয়ালের কাছেই হেরেছে টাইগাররা।
মিরপুর টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ২৯৬ রানে থামে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বার বল হাতে জ্বলে ওঠে টাইগাররা। এবার ক্যারিবীয়রা কোনো উত্তর খুঁজে পায়নি। ফলে ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানের লিডের সুবাদে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩১। এই রান তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকদের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। তামিমের বিধ্বংসী শুরুতে কোনো উইকেট না হারিয়েই দলীয় অর্ধশতক পূরণ করে টাইগাররা। ফিফটি পূরন করেন তামিম নিজেও।
দ্বিতীয় সারির দল হলেও উইন্ডিজ ক্রিকেটাররা যে হাল ছাড়ার পাত্র না। তাই সৌম্যকে সাজঘরে ফিরিয়ে আক্রমণের শুরু। একে একে উইকেট দান (!) করে আসেন তামিম, শান্ত, মুশফিকরা। চাপে পড়ে বাংলাদেশ, উজ্জ্বল হয় ক্যারিবীয়দের জয়ের সম্ভাবনা।
টার্গেট খুব বেশি না হওয়ায় তবুও আশা টিকে ছিল। হয়তো ব্যাটসম্যানদের মাঝে কেউ একটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে হয়েও যেতো। কিন্তু কারো হয়তো টেস্ট জেতার মানসিকতাই ছিল না! ফলে টাইগার ব্যাটারদের একেরপর এক আত্মহত্যায় উল্লাসে মাতে ক্যারিবীয়রা। ফিকে হয়ে আসে সিরিজ সমতায় শেষ করার স্বপ্ন।
শেষদিকে মেহেদি হাসান মিরাজ চেষ্টা করেছেন বটে। তবে তা যথেষ্ট ছিল না। তার ব্যাটে একসময় ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তা আর হয়নি।
ওয়ারিক্যানের বলে কর্নওয়াল ক্যাচ ধরার মাধ্যমে মিরাজের প্রতিরোধের সমাপ্তি ঘটে। ঘরের মাঠে দুর্বল উইন্ডিজের বিপক্ষে হেরে যায় বাংলাদেশ। লজ্জা পায় হোয়াইটওয়াশের।
এই লজ্জা লুকানোর কোনো জায়গা পাবে কি মুমিনুল হকের দল?