এবার সু চির ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেফতার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারে অং সান সুচি চির অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) জ্যেষ্ঠ নেতা উইন তেইনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সোমবার দেশটির সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান করে ক্ষমতা দখলের পর সু চিসহ মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ও সরকারের মন্ত্রীদের আটক করা হয়। খবর বিবিসির।
শুক্রবার উইন তেইন বিবিসিকে বলেছেন, ইয়াঙ্গুনের বাসভবন থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে রাষ্ট্রদোহের আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনে জয় লাভ করেছিল এনএলডি। সে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। যদিও মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন জানায় এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিবিসি বার্মিজের সঙ্গে শুক্রবার ভোরে কথা বলার সময় উইন তেইন বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে রাজধানী নেপিডোয় নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার আইনে তাকে আটক করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে তাকে বলা হয়নি। উল্লেখ্য, এই আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
তিনি বলেন, ‘আমি যা বলছি তারা তা পছন্দ করছে না। আমি কী বলে ফেলতে পারি সে বিষয়ে তারা ভয়ে আছে।’
৭৯ বছর বয়স্ক উইন তেইন এনএলডির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও সু চির ঘনিষ্ঠ সহযোগী। অভ্যুত্থানের পর তিনি একাধিক সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনী ও এর প্রধান মিন অং হ্ল্যাংয়ের সমালোচনা করেছেন।
সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় সারা বিশ্ব থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে এবং আটককৃত কর্মকর্তা ও নেতাদের ছেড়ে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে মিয়ানমারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলেও হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ইয়াগুনের নাগরিকরা রাতের বেলা বাসায় থালাবাসন বাজিয়ে ও বিপ্লবী গান গেয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এছাড়া দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা ধর্মঘট ডেকেছেন ও লাল ব্যাজ ধারণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মান্ডালেতে শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় একটি ছোট বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। সেখান থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অনলাইনেও প্রতিবাদ জারি রেখেছেন অনেকে। তবে দেশটির সামরিক বাহিনী সেখানে ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছে।