বাগেরহাট কলেজছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টায় বিরিয়ানিতে ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হলো পরিবারকে
নিউজ ডেস্ক:
প্রায় এক বছর ধরে এক কলেজছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিল বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার পদ্মডাঙ্গা গ্রামের উজ্জল ঢালী। বিয়ের প্রস্তাব দিলেও রাজি হয়নি ওই ছাত্রী। তাই অপহরণ করেই তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন উজ্জ্বল।
সেই ভাবনা থেকে বিরিয়ানীর সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের চার সদস্যকে অচেতন করেন তিনি। আর একটু সময় পেলে তার পরিকল্পনা সফলও হতো। এক প্রতিবেশি হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে এলোমেলোভাবে পরিবারের সবাইকে পড়ে থাকতে দেখে গৃহকর্তাকে ফোন দেন। এতে পুরো পরিকল্পনা ওলটপালট হয়ে যায়।
এখন পুলিশের তাড়া খেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন উজ্জ্বল। এদিকে অজ্ঞান করতে সহায়তার অভিযোগে উজ্জলের সহযোগী ইমন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মোল্লাহাট উপজেলার পদ্মডাঙ্গা গ্রামের বলাই ঢালীর ছেলে উজ্জল ঢালী বছর খানেক ধরে ওই কলেজছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিল। এক পর্যায়ে বিয়ের জন্য প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু ওই কলেজছাত্রীর পরিবার তা নাকচ করে দেয়।
২৯ জানুয়ারি স্থানীয় শরিফুলের দোকানে হালখাতা অনুষ্ঠানে বাকি থাকা টাকা দিতে যান ওই ছাত্রীর মা ও ছোট ভাই। সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উজ্জল ঢালী ও তার সহযোগী পাঁচ জন মিলে হালখাতার বিরিয়ানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ওই ছাত্রীর মায়ের হাতে খাবার দেন।
বাড়ি গিয়ে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কলেজছাত্রীসহ পরিবারের চারজন। বাইরে থাকার সুবাদে কেবলমাত্র কলেজছাত্রীর বাবা বেঁচে যান। সেসময় এক প্রতিবেশী গৃহকর্তাকে খুঁজতে গিয়ে ঘরের মধ্যে চারজনকে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনিই ফোন করেন ওই কলেজছাত্রীর বাবাকে। ফোন পেয়ে বাড়ি ফিরে সবাইকে উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন গৃহকর্তা।
ঘটনার চারদিন পর সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে মঙ্গলবার রাতে উজ্জল ঢালী ও ইমন মোল্লাসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন কলেজ শিক্ষার্থীর বাবা। বুধবার ইমন মোল্লাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে মোল্লাহাট থানা পুলিশ।
মোল্লাহাট থানার এসআই ঠাকুর দাস বলেন, মেয়েটিকে অপহরণের উদ্দেশ্যে আসামিরা তাদের চেতনানাশক খাইয়েছিল। মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা এক আসামিকে গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।