মিয়ানমারে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিন্টকে আটকের পর দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
২০২০ সালের নভেম্বরে বিতর্কিত নির্বাচনের পরে বেসামরিক সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার পরে এ অভ্যুত্থানটি ঘটল।
সু চিকে আটকের কয়েক ঘণ্টা পরে সামরিক টেলিভিশন মায়াওয়াদ্দি টিভি জানিয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এক বছরের জন্য দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
এক বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের ক্ষমতা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সু চি দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, সোমবার ভোরে দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর লোকজন দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে গেছে বলে তাদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
এছাড়াও প্রধান প্রধান শহরগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে, কারিগরি সমস্যার কারণে তাদের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। সেনাবাহিনী নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে সোমবার বসতে যাওয়া সংসদ অধিবেশন বাতিলের দাবি জানায়।
অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি নভেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায়। তবে সেই নির্বাচনে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের ভোটারদের ভোট বঞ্চিত করার সমালোচনা করেছিল মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
সেনাবাহিনী সমর্থিত বিরোধী জোট নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলে। তাদের দাবি নির্বাচনে ৮.৬ মিলিয়ন ভোট কারচুপি হয়েছে।
গত সপ্তাহে সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইং যৌক্তিকভাবে নির্বাচনের জালিয়াতিকে চিহ্নিত করেছেন।