কলারোয়া পৌরসভায় প্রশাসনের সহায়তায় কাঁটা হচ্ছে ভোট, বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহন চলছে। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮ থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়। কেন্দ্রে রয়েছে শুধু নৌকার এজেন্ট। বিএনপির প্রার্থীর এজেন্টদের মারপিট করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছে পুলিশ।
কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী (ধানের শীষ) শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন জানান, আমি প্রার্থী অথচ আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে মারপিট করে। প্রতিটি কেন্দ্রের এজেন্টদের মারপিট করে বের করে দিয়েছে। সাংবাদিকদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। প্রহসনের নির্বাচন হচ্ছে।
তিনি বলেন, সকাল ৯টার আগেই প্রতিটি কেন্দ্রের ব্যালটে সিল মারা শেষ করে ফেলেছে। পৌরসভার ভোটার নয় এমন নারী-পুরুষদের এনে ভোটকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ভিতরে প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় পুলিশ ভোট কেটে বাক্স ভরছে। কোন আইনী সহায়তা আমি পাইনি।
সকাল ১০টায় বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে বিএনপির প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন ভোট বর্জনের ঘোষনা দেন। তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠ ভোট হতে পারে না। এটি নির্বাচন নয় তামাশা।
বিএনপি প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ফরহাদ হোসেন জানান, আমাকে কোন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। মারপিট করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
পৌরসভার মুরালীকাটি গ্রামের আবুল খায়ের জানান, আমি ভোট দিতে গেলে আমাকে বের করে দিয়েছে। ভোট দিতে দেয়নি।
এদিকে, পৌরসভার গোপিনাথপুর ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্র শত শত নারী পুরুষদের উপস্থিতি দেখা যায়। তবে কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও নিতে বাঁধা দেন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ক্যামেরাপার্সন পলাশকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক পলাশ জানান, কেন্দ্রের ভিডিও নিতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বাঁধা দেয়। গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। ঘটনাটি আমি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।
গোপিনাথপুর ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত ম্যাজিষ্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।