শ্যামনগরের কৈখালীতে আলোচিত বাঘে ধরা ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাঁ ঢাকা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শ্যামনগরের কৈখালীতে আলোচিত বাঘে ধরা ঘটনায় রতনের পরিবার থেকে থানায় অভিযোগের পর থেকে ঘটনার সাথে জড়িতরা নজর এড়িড়ে চলছে প্রশাসনের। ঘটনার মূল রহস্য পাওয়ার চেষ্টা করছে বিভিন্ন প্রশাসন কিন্তু গত ২৬ জানুয়ারী ২০২১ তারিখ থেকে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আর দেখা মিলছে না।
এদিকে ছেলের ফেরার আশায় বসে আছে “মা” ঐ বুঝি রতন এসেছে। মাঝে মাঝে ডুকরে কেঁদে উঠছে। শান্ত করতে প্রতিবেশিরা ছটে আসছি
অসহায় পরিবারের ধারে।
গত ১৩ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার সন্ধ্যায় কৈখালী ইউনিয়নের সাহেবখালী গ্রামের কয়ালপাড়ার জাহার আলী কয়ালের পুত্র মামুন, রুহুল আমিন কয়ালের পুত্র গাজা ব্যাবসায়ী আইজুল ও ভদ্রখালী
গ্রামের মতিয়ার গাজীর পুত্র সোহারাব রতনকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেই থেকে রতন নিখোঁজ। এদিকে রতনের পিতা কফিলউদ্দীন ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসে ছেলেকে না দেখে পুত্রের
খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মামুন, আইজুল, সোহারাব রতনকে ডেকে নিয়ে গেছে। কফিলউদ্দীন মামুনের কাছে জানতে চাইলে মামুন আশ^াস দিয়ে বলে রতন, মিজান মুসা একসাথে একটা
কাজে গেছে দ্রæত ফিরবে। দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পৌনরায় রতনের পিতা কফিলউদ্দীন আইজুলের কাছে জিজ্ঞাসা করলে সেও
একুই কথা জানাই। পরে গত ২২ জানুয়ারী ২০২১ বৃস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আবু মুসা ফোন করে কান্নাকাটি করে পরিবারকে জানাই রতন ও মিজানকে বাঘে ধরেছে। স্থানীয় ভারতীয় জেলেরা
মুসাকে উদ্ধার করে পরে মুসা ভারতে ১ দিন থাকার পর গত ২৪ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে বাংলাদেশে ফিরে আসে।গত ২৪ জানুয়ারী বিষয়টি নিয়ে কফিলউদ্দীন শ্যামনগর থানায় কয়েকজন অজ্ঞত সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের উপর সঠিক ঘটনার তদন্ত ক্ষুতিয়ে দেখছেন এসআই হাবিব। কিন্তু কি ঘটেছিলো সেই দিন রতন ও মিজানের সাথে ? এমন হাজারও প্রশ্ন এলাকাবাসীর ! নিহত পরিবার মামুন, আইজুল, সোহারাবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ তাদের লাশ ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ
কামনা করছেন।