বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আগামী নির্বাচনে কাল হয়ে দাড়াতে পারে সাতক্ষীরার বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যানের
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাংবাদিক ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যকে পেটানো, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্নসাৎ এবং ইউপি সদস্যদের সাথে সুসম্পর্ক না রাখাসহ নানা অনিয়ম-দূনীতর কারনে আগামী নির্বাচনে কাল হয়ে দাড়াতে পারে সাতক্ষীরার বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মোশরফ হোসেনের। ইতিমধ্যে কয়েক দফায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলাকাবাসী ও স্থানীয় ইউপি সদস্যদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সরকারি দফতরে আবেদনও করা হয়েছে। তবে, ইউপি চেয়ারম্যানের দাবী এ সব কারনে তার ভোটের কোন প্রভাব পড়বেনা।
এছাড়া তার সকল বিরোধ তিনি নিষ্পত্তি করেছেন বলে জানান।
জানা গেছে, বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মোশরফ হোসেন তার ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা দরের চাউলের কার্ড বিতরনে অনিয়ম, কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্নসাৎ, হতদরিদ্রদের কাজে চরম দূর্নীতি অনিয়ম,
সরকারের দেয়া হতদরিদ্রদের ২০ টি ঘর বিতরনে অনিয়ম, ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতা আত্নসাৎ, গর্ভবতি মহিলা, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী কার্ড অধিকাংশই নিজেদের লোক দ্বারা অর্থের বিনিময়ে বিতরনসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের
কাজে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে তা আত্নসাৎসহ নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
তার এসব অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় এক সাংবাদিককে তিনি মারপিটও করেন। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
এছাড়া তিনি তার পরিষদের একজন মহিলা ইউপি সদস্যকেও মারপিট করেছেন তার অনিয়ম
দূর্নীতির প্রতিবাদ করায়। স্থানীয় ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি সদস্য কামরুল হাসান ও ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মাহবুবার রহমান জানান, স্থানীয় অধিকাংশ
আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে তার কোন সখ্যতা নাই। এছাড়া সাধারন ভোটারদের সাথেও তার তেমন কোন সুসম্পর্ক নাই। বর্তমানে তিনি অনেকটা জন বিচ্ছিন্ন। যা আগামী নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে বলে তারা মন্তব্য করেন।
তবে, এ ব্যাপারে বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মোশরফ হোসেন জানান, এতে তার আগামী নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বেনা। এছাড়া যা বিরোধ ছিল তা সব তিনি নিষ্পত্তি করেছেন বলে জানান।
তিনি আরো জানান, বাঁশদহা ইউনিয়নে প্রায় ১৬/১৭ হাজার ভোটার রয়েছে। সব ভোট তো আর তিনি একা পাবেননা। পক্ষে-বিপক্ষে তো লোক থাকবে।