শ্যামনগরে আলোচিত বাঘে ধরা ঘটনায় বাড়ী থেকে নিয়ে উধাও করে দেয়ায় রতনের পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগরের কৈখালীতে আলোচিত বাঘে ধরা ঘটনায় বাড়ী থেকে নিয়ে উধাও করে দেওয়ায় রতনের পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ,পুলিশের তদন্ত শুরু।
রতনের পরিবারের অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে যে, গত ১৩ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার সন্ধ্যায় কৈখালী ইউনিয়নের সাহেবখালী গ্রামের কয়ালপাড়ার জাহার আলী কয়ালের পুত্র মামুন, রুহুল আমিন কয়ালের পুত্র গাজা ব্যবসায়ী আইজুল ও ভদ্রখালী গ্রামের মতিয়ার গাজীর পুত্র সোহারাব রতনকে
বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেই থেকে রতন নিখোঁজ। এদিকে রতনের পিতা কফিলউদ্দীন ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসে ছেলেকে না দেখে পুত্রের খোঁজ নিয়েজানতে পারে মামুন, আইজুল, সোহারাব রতনকে ডেকে নিয়ে গেছে। কফিলউদ্দীন
মামুনের কাছে জানতে চাইলে মামুন আশ্বাস দিয়ে বলে রতন, মিজান মুসা একসাথে একটা কাজে গেছে দ্রুত ফিরবে। দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পৌনরায় রতনের পিতাকফিলউদ্দীন আইজুলের কাছে জিজ্ঞাসা করলে সেও একুই কথা জানাই।
পরে গত ২২ জানুয়ারি ২০২১ বৃস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আবু মুসা ফোন করে কান্নাকাটি
করে পরিবারকে জানাই রতন ও মিজানকে বাঘে ধরেছে। স্থানীয় ভারতীয় জেলেরা মুসাকে উদ্ধার করে পরে মুসা ভারতে ১ দিন থাকার পর গত ২৪ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে বাংলাদেশে ফিরে আসে।
গত ২৪ জানুয়ারী বিষয়টি নিয়ে কফিলউদ্দীন শ্যামনগর থানায় কয়েকজন অজ্ঞত সহ ৩
জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের উপর সঠিক ঘটনার তদন্ত
ক্ষুতিয়ে দেখছেন এসআই হাবিব।
এসআই হাবিব জানান, সঠিক ঘটনা অবশ্যই বেরিয়ে আসবে। তবে সময়ের ব্যপার। আমি
বিষয়টি সত্যতা খুঁজে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব নাজমুল হুদা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই হাবিবের উপর তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে ৷ দ্রুত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে ৷
এদিকে এলাকায় শোকের ছায়ায় ঘিরে আছে। রতুন ও মিজানকে হারিয়ে তাদের পরিবার
প্রায় পাগল। পাশর্^বর্তি কালুন্দী নদীতে মাছ ধরে পরিবারের ৫ জন সদস্যদের নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসতো। নদীর চরে খড় দিয়ে ছাওয়ার ভাঙ্গা মাটিরদেওয়াল দিয়ে তৈরী ঘরে বসাবস রতনের পরিবার। রতনকে হারিয়ে বেভোলা তার
পরিবার। রতনের মৃত্যু দেহটা পাওয়ার আশায় তার মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তানেরা পথ চেয়ে বসে আছে। মিডিয়ার কর্মীরা গেলে দৌড়ে জড়িয়ে ধরে রতনের
লাশটা পাওয়ার আশায়।
অন্যদিকে মিজান বৈধ পাশপার্মিট নিয়ে কাঁকড়া ও মধু আহারন করে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। পরিবার পরিজনদের নিয়ে একটু সুখের আশায় পাকা ঘরে বসাবসের জন্য নতুন ঘর তৈরি করে ছাদ দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিলো। কিন্তু মিজানের স্বপ্ন আর বাস্তবয়ন হলো না।
বাড়ীতেই ফিরল না তার লাশ। বাবা কোথায় প্রশ্নবৃদ্ধ হয়ে অঝরে ঝরাচ্ছে মিজানের স্ত্রী।নিহত পরিবারের একটাই দাবী মামুন, আইজুল, সোহারাবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ তাদের লাশ ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Please follow and like us: