কাকরাইলে মা-ছেলে হত্যা: স্বামীসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

নিউজ ডেস্কঃ

রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলে হত্যা মামলায় নিহতের স্বামী আব্দুল করিমসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনি।

এর আগে সকালে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাদের কারাগারের গারদে রাখা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এজলাসে তোলা হয়। তারপর তাদের উপস্থিতিতে বিচারক রায় পড়া শুরু করেন। রায় পড়া শেষ হলে বেলা ১১টা ৪৩মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ১০ জানুয়ারি আসামি আব্দুল করিমের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর দুই আসামি শারমিন আক্তার মুক্তা ও মুক্তার ভাই আল-আমিন ওরফে জনির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে নির্দোষ দাবি করে তাদের খালাস চান আসামিপক্ষের আইনজীবী। তার আগে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। গত বছরের ১২ নভেম্বর তিন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।

এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আলী হোসেন। অভিযোগপত্রে তিনজনকে আসামি করা হয়। ওই তিন আসামিই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত ৭ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। এরপর গত বছরের ১ নভেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। অভিযোগপত্রে উল্লেখিত মোট ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের পাইওনিয়র গলির ৭৯/১ নম্বর বাসায় আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন রাতে নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় নিহতের স্বামী আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তা ও মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। নিহতের স্বামী আবদুল করিম পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী। তিনি আঁদা-রসুন-পেঁয়াজ আমদানিকারক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা শামসুন্নাহার করিমের স্বামী আবদুল করিম ও করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল শারমিন মুক্তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর ওই বছরের ৩ নভেম্বর দিবাগত রাত ৩টায় গোপালগঞ্জ থেকে মামলার মূল আসামি জনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৩। তারপর ৫ নভেম্বর জনির ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)