সাতক্ষীরায় ধর্ষিতা দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষকের হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
“তোর জন্য আমার জেল খাটতে হয়েছে। তোর আব্বা আমার বিরুদ্ধে মামলা করে ভাল কাজ করেনি। এা জন্য তোকে খুন করে ফেলব।” জেল থেকে বের হয়ে আসা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙা ইউনিয়নের উত্তন পাথরঘাটা গ্রামের শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী আলী শেখ ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষিতা শিশুকে বাড়ির পাশের রাস্তায় এভাবেই হুমকিব দেয় বলে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া আমতলা একটি মানবাধিকার সংগঠনের অফিসে এসে এভাবেই অভিযোগ করেন ধর্ষিতা ওই শিশু তার পরিবারের সদস্যরা।উত্তর পাথরঘাটা গ্রামের এক দিনমজুরের স্ত্রী জানান, তার মেয়ে (৮) স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। গত ২১ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে তাদেরই আত্মীয় একই গ্রামের মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাবলু শেখের বাড়িতে খেলতে যায়। বাবলু শেখের ছেলে আলী শেখ (১৭) তার মেয়েকে খাবার দেওয়ার নাম করে ঘরে ডেকে নিয়ে মুখ চেপে ধরে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ে বাড়িতে আসার সময়
তার হাঁটা চলা অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় জিজ্ঞাসা করতেই সে ঘটনার বর্ণনা দেয়।
পরবর্তীতে জনতা আলী শেখকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার ভ্যান
চালক বাবা বাদি হয়ে পরদিন থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন আলী শেখের বিরুদ্ধে। আলী
শেখ জেল হাজতে থাকার সময় মামলার বাদিকে হুমকি ধামকি দিলে থানায় সাধারণ ডায়েরী
করা হয়। আসামী আলী শেখকে গত ৩১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের
ভারপ্রাপ্ত বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মফিজুর রহমান জামিন দেন। গত ৪ জানুয়ারি
আলী শেখ যশোরের নিরাপত্তা হেফাজত থেকে মুক্তি পায়। ৬ জানুয়ারি দুপুরে ধর্ষিতা
শিশুটি বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় গেলে আলী শেখ জেল খাটায় তাকে মেরে ফেলার হুমকি
দেয়।
ধর্ষিতার বাবা অভিযোগ করে বলেন যে, ধর্ষক ও তার স্বজনরা তার মেয়ে ও তাদেরকে হুমকি
ধামকি দিচ্ছে। অথচ ধর্ষকেতর পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ করে থানায়
সাধারণ ডায়েরি করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক মোঃ অহিদুজ্জামান উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি হুমকির ঘটনায় পৃথক দু’টি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএনএ টেষ্ট রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আদালতে পুলিশ রিপোর্ট পাঠানো যাচ্ছে না।