পিপি অ্যাড.আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষী দেওয়ায় পিটিয়ে জখমঃছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল
লতিফের বিরুদ্ধে তদন্তকারি কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দেওয়ায় স্বামী ও স্ত্রীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের শহীদুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বাাদি হয়ে রোববার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর আগামি ২৭ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, আব্দুল লতিফের ছেলে আমিনুল ইসলাম রাসেল, শরিফুল ইসলাম, আব্দুল মোমেন, রেজাউল ইসলাম, আলমগীর হোসেন ও আনারুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের আব্দুল আজিজ গাজীর ছেলে নজরুল ইসলামের কাছ থেকে জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ ৮৪ হাজার টাকা ধার নেয়।
নিদ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করায় তিনি জনৈক আব্দুল হামিদের কাছ থেকে বায়নাকৃত ৫ কাঠা জমি নজরুলের নামে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার
প্রতিশ্রতি দেন।
পরবর্তীতে জমি লিখে না দিয়ে বা টাকা পরিশোধ না করে গত ৩০ অক্টোবর নজরুলকে বাড়ি থেকে হেঁকে বের করে দেন।
এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে গত বছরের ৯ নভেম্বর
সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (সিআর ৯২০/২০) দায়ের করেন। বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর চলতি বছরের ৮ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ি পিবিআই এর উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান গত ৫ জানুয়ারি সকাল ১১টায় ঘটনার তদন্তে নজরুল ইসলামের বাড়িতে যান। এ সময় সাক্ষী দেন তার মেঝ ভাই শহীদুল ইসলাম। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তদন্তকারি কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পরপরই আমিনুল ইসলাম রাসেলের নেতৃত্বে শরিফুল ইসলাম, আব্দুল মোমেন, রেজাউল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, ও আনারুল
ইসলাম পরিকল্পিতভাবে শহীদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে পিটিয়ে জখম করে।
এ সময় হামলাকারিরা শহীদুল ইসলামের কাছে থাকা ১৫ হাজার ৩০০ টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে নেয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হওয়ায় রোববার আদালতে এ মামলা (সিআর-২০/২১
সদর) দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অ্যাড. আব্দুল লতিফের ছেলে রাসেল নিজেকে মারপিটের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে জানান, তিনি পিবিআই কর্মকর্তার সঙ্গে ছিলেন। বীমার টাকা পাওনাদাররা শহীদুলসহ কয়েকজনকে মারধর করেছে।
অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, তার ছেলেসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার আনোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।