শীর্ষে থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে বসুন্ধরা
অনলাইন ডেস্ক:
বসুন্ধরা কিংস না চট্টগ্রাম আবাহনী, ‘সি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হবে কে ? ফেডারেশন কাপের গ্রুপিং চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই অনেকেরই এই প্রশ্ন। গ্রুপ পর্বে উভয় দল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডসকে হারিয়ে বিদায় করে দেওয়ার পর সে প্রশ্নটি বড় হয়ে ওঠে আরও। আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। একমাত্র গোল করে ম্যাচের মীমাংসা করে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার রাউল বেসেরা।
খেলোয়াড়দের মান ও প্রস্তুতিতে চট্টগ্রাম আবাহনীর চেয়ে অনেক এগিয়ে বসুন্ধরা। তবুও অস্কার ব্রুজোনের বসুন্ধরা ও মারুফুলের চট্টগ্রামের মুখোমুখি হলে আলাদা একটা উত্তেজনা ছড়ায়। গতবার ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্বে বসুন্ধরাকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল মারুফুলের চট্টগ্রাম। লিগেও ৪-৩ গোলে জিতেছিল মারুফুলের দল। কিন্তু আজ আর পারল না।
‘সি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ের আড়ালে স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোনের বিপক্ষে দেশের অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হকের মস্তিষ্কের লড়াই। অস্কারের তুলনায় মারুফুলের হাতে শক্তিশালী সৈন্য নেই। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেদু ম্যাথিউ করোনা পজিটিভ হওয়ায় মাঠেই নামতে পারেননি।
অস্কারের হাতে খেলোয়াড়ের বৈচিত্র্য অনেক। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে তিন পরিবর্তন করে ৪-৩-৩ ফরমেশনে একাদশ সাজিয়েছিলেন অস্কার। ব্রাজিলিয়ান জোনাথন ফার্নান্দেজকে খেলানো হয়েছে হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে। তাঁর সামনে রবিনিও ও ইমন মাহমুদ। আক্রমণভাগে রাউল বেসেরার দুই পাশে বিপলু আহমেদ ও মাহবুবুর রহমান। এমন দলকে ঠেকানোর জন্য সব চেষ্টা করেছেন মারুফুল।
৪-৩-৩ ফরমেশনে একাদশ সাজিয়েছিলেন। মাঝমাঠে মানিক হোসেন মোল্লা , মোনায়েম খান রাজু ও চার্লস দিদিয়ের। বল প্রতিপক্ষের পায়ে থাকলে এই তিনজনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাঁদের দুই উইঙ্গার মান্নাফ রাব্বি ও সোহেল রানা। মারুফুলের উদ্দেশ্য পরিষ্কার, মাঝমাঠে পায়ের জঙ্গল বাড়ানো, যাতে মিডল করিডরে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে না পারেন বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান প্লেমেকার রবিনিও। সে উদ্দেশ্যে তিনি সফলও। আগের ম্যাচে ছড়ি ঘোরানো রবিনিও আজ তেমন ঝলক দেখানোর সুযোগ পাননি। ম্যাচের শেষ দিকে একক প্রচেষ্টার একটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও চট্টগ্রামের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান।
৪৯ মিনিটে বসুন্ধরার একমাত্র গোলে অবশ্য রবিনিওর অবদান আছে। তাঁর কর্নার কিক থেকেই দূরের পোস্টে হেডে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার রাউল বেসেরা। বলের ফ্লাইট মিস করেন চট্টগ্রাম গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাঈম। এই গোলের আগে ও পরে সহজ দুটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন বসুন্ধরার মাহবুবুর রহমান। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে জোনাথনের রক্ষণচেরা থ্রুতে ফাঁকা হয়ে যায় চট্টগ্রামের রক্ষভাগ। এগিয়ে আসা গোলরক্ষকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ মাহবুবুর। ৫৭ মিনিটে আরও একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। এবারও গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন। তাঁর শট ক্রসবার উচিয়ে বাইরে। বেসেরার ওই এক গোলই হয়ে থাকল ম্যাচের প্রাণ।
শেষ দিকে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন চট্টগ্রামের মান্নাফ রাব্বিও। কিন্তু গোলমুখ থেকে পা লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। এতে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখাল চট্টগ্রাম।