অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে একাধিকবার ‘ধর্ষণ’
নিউজ ডেস্কঃ
মোবাইল থেকে এক গৃহবধূ ও তার স্বামীর একান্ত মুহূর্তের ছবি কৌশলে নিজের মোবাইলে নিয়ে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাকিবুল হাসান রাকিব নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় রাকিবের মা রুনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতার রুনা বেগম চরফকিরা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারিক ক্যাপ্টেন বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত চার বছর আগে এক প্রবাসীর সঙ্গে নির্যাতিতা নারীর বিয়ে হয়। তাদের সন্তানের জন্ম হওয়ার পর বিদেশে চলে যান গৃহবধূর স্বামী। অভিযুক্ত রাকিব তাদের একই বাড়ির বাসিন্দা ও ওই নারীর ভাসুরের ছেলে। এ সম্পর্কের কারণে গৃহবধূদের ঘরে আসা যাওয়া ছিল রাকিবের।
ঘরে আসা যাওয়ার কোনো এক সময় গৃহবধূর অজান্তে তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর একান্ত মুহূর্তের কিছু অন্তরঙ্গ ছবি নিজের মোবাইলে নিয়ে যান রাকিব। পরবর্তীতে ওই ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন রাকিব। ওই নারী ঘটনাটি রাকিবের বাবা-মাকে জানিয়ে কোনো প্রতিকার পাননি, বরং উল্টো তারা অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। নিজের সংসার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে প্রবাসী স্বামীকে কিছুই জানাননি ওই গৃহবধূ।
গত ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গৃহবধূর শ্বশুরদের ঘরে কেউ না থাকার সুবাদে ঘরে আসেন রাকিব। এ সময় রাকিব গৃহবধূর কক্ষে ঢুকে তার শিশু বাচ্চাকে পানিতে ফেলে হত্যার হুমকি ও ছবিগুলো আজই ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে জোরপূর্বক আবারো ধর্ষণ করেন।
একইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কৌশলে আবারো গৃহবধূর কক্ষে ঢুকে গৃহবধূকে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা চালান রাকিব। পরে রাকিবের সঙ্গে গৃহবধূর ধস্তাধস্তির শব্দ পেয়ে পাশের কক্ষ থেকে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় দ্রুত পালিয়ে গিয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেন। গৃহবধূর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে বাবার বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় ২৪ ডিসেম্বর তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, ধর্ষণের অভিযোগে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ৩ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতা নারীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা রাকিবকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।