আজ শুভ বড়দিন

নিউজ ডেস্কঃ

আজ ২৫ ডিসেম্বর। শুভ বড়দিন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খ্রিস্টধর্মালম্বীরা উদযাপন করবে এ ধর্মীয় উৎসব।

এদিকে শুভ বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, যিশু খ্রিস্ট মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দিয়েছেন। জাগতিক সুখের পরিবর্তে যিশু খ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশু খ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি।

দিবসটি উপলক্ষে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে উৎসব পালন করব। আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।

খ্রিস্টধর্ম মতে, প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি আগে আজকের দিনে জেরুজালেমের দক্ষিণে বেথলেহেম নগরীর এক গোয়ালঘরে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। বিশ্বে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেয়া, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতে তার আগমন ঘটেছিল।

যিশুর জন্মের অনেক বছর পর থেকে এ দিনকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে উদযাপন করতে শুরু করে খ্রিস্টানরা। ৪৪০ সালে পোপ এদিবসকে স্বীকৃতি দেন। তবে উৎসবটি জনপ্রিয়তা পায় মধ্যযুগে। সেসময় এর নাম হয় ‘ক্রিসমাস ডে’। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ক্রিসমাস দিবসে সরকারি ছুটির দিন।

এবারের বড়দিনের আয়োজন নিয়ে বলতে গিয়ে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও বলেন, করোনার কারণে এবার আমরা সীমিত পরিসরে বড়দিন উদযাপন করলেও স্পিরিচ্যুয়ালি আমরা আগের মতোই আছি। এ বড়দিনে আমাদের প্রার্থনা থাকবে, আমরা যেন করোনা মহামারি থেকে মুক্তি পাই।

তিনি বলেন, শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা করা হবে।

বড়দিন উপলক্ষে শুক্রবার সরকারি ছুটি। সরকারি-বেসরকারি রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান ও প্রকাশনার মাধ্যমে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরছে।

দেশের সব গির্জাসহ খ্রিস্টান পরিবারগুলো ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, কেক তৈরি করে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিনটি উদযাপন করবে। এরই মধ্যে দেশের সব গির্জায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

সেইসঙ্গে ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে ক্রিসমাস ট্রি, গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলপনাসহ বিভিন্ন সাজে সাজানো হয়েছে। সব গির্জার নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও র‌্যাব।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)