সহজ কাজ কঠিন করে হোয়াইটওয়াশ এড়াল পাকিস্তান
খেলা ডেস্ক:
সিরিজের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল দ্বিতীয় ম্যাচের পরই। দুই ম্যাচ টানা জিতে সিরিজটাও নিজেদের পকেটে পুরে নিয়েছিল কিউইরা। সিরিজ গেছে যাক, শেষ ম্যাচে হার এড়ানোই একমাত্র লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের। না হয় হোয়াইটওয়াশ হতে হতো। মোহাম্মদ রিজওয়ানের কল্যাণে সেটা হয়নি। সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।
তিন বছর আগে এমনই এক টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান নেমেছিল ফরম্যাটের সেরা দল হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে, তিন বছর পর আবারও আরেক সিরিজে এবার তাঁদের নামতে হয় হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে। টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শাদাব খান। মার্টিন গাপটিল ও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা টম সেইফার্টের কল্যাণে মোটামুটি ভালো শুরুই হয় নিউজিল্যান্ডের। ফাহিম আশরাফ এসে ম্যাচের পাল্লাটা পাকিস্তানের দিকে ঠেলে দেন। নিজের পরপর দুই ওভারে ফিরিয়ে দেন কেন উইলিয়ামসন ও সেইফার্টকে (২০ বলে ৩৫)। এরপর ইনিংসের হাল ধরেন ডেভন কনওয়ে। শুরুতে গ্লেন ফিলিপস (২০ বলে ৩১) ও পরে স্কট কুগেলাইনকে (৬ বলে ১৪) সঙ্গে নিয়ে বিশ ওভারে দলের স্কোর ১৭৩-এ নিয়ে যান কনওয়ে (৪৫ বলে ৬৩)। পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন ফাহিম আশরাফ।
উইলিয়ামসন ও সেইফার্ট ছাড়াও জিমি নিশামকে তুলে নেন এই ডানহাতি মিডিয়াম পেসার। দুই উইকেট নিলেও দলের মূল পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ছিলেন বেশ খরুচে। ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন তিনি। একই অবস্থা হারিস রউফেরও। ৪ ওভারে দুই উইকেট তুলতে ৪৪ রান দিয়েছেন রউফ। ৪ ওভার বল করে অধিনায়ক শাদাব খান ছিলেন উইকেটশূন্য।
মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটেই আজ হাসল পাকিস্তান।
মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটেই আজ হাসল পাকিস্তান।
পরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম থেকেই নিজেদের চালকের আসনে নিয়ে যায়। এক প্রান্তে হায়দার আলী (৯ বলে ১১) ও মোহাম্মদ হাফিজ (২৯ বলে ৪১) ফিরে গেলেও আরেক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই রিজওয়ানই প্রায় দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন। ৫৯ বলে ৮৯ রানের ইনিংসটায় ছিল দশটি চার ও তিনটি ছয়ের মার। শেষ দিকে টপাটপ চার উইকেট হারিয়ে নিজেদের সহজ কাজটাকেই কঠিন করে ফেলেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। টিম সাউদি, স্কট কুগেলিন ও জিমি নিশামের তোপে একে একে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা দেন ফাহিম আশরাফ (৩ বলে ২), শাদাব খান (১ বলে ০), খুশদিল শাহ (১০ বলে ১৩) ও রিজওয়ান নিজে। শেষমেশ ৭ বলে ১৪ রান করে সব অনিশ্চয়তা এক পাশে সরিয়ে দলকে জয় এনে দেন ইফতিখার আহমেদ।