ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের আগে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না পাকিস্তান।
অনলাইন ডেস্ক:
ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ন্যায্য সমাধানে পৌঁছার আগে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না পাকিস্তান। মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো যখন একে একে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শুরু করেছে, তখন পাকিস্তান ইসরায়েলের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিল।
সোমবার মুলতানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে পাকিস্তান আমিরাতকে বলেছে, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দান কিংবা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের আগে পাকিস্তানকে নিশ্চিত হতে হবে যে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের সঙ্গে তাদের চলমান সঙ্কট নিয়ে সঠিক পথে আলোচনা চালাচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
সম্প্রতি শাহ মাহমুদ কোরেশি আমিরাত সফর করেছেন। বলা হয়েছে, আমিরাতে পাকিস্তানিদের জন্য হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া ভিসা পুনঃচালু করার উদ্দেশ্যে কথা বলার জন্য পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাত গেছেন। তবে এরই মধ্যে এমন কথাও ছড়িযে পড়তে শুরু করেছিল, পাকিস্তান আসলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির গোপন অভিলাষ নিয়ে আমিরাতের দ্বারস্থ হয়েছে। মাহমুদ শাহ কোরেশির আমিরাত সফর ইসরায়েলের কাছে তার একটি বার্তা। ইসরায়েলি পত্র-পত্রিকাও পাকিস্তানের সম্ভাব্য মনোভাব নিয়ে নানা খবর প্রচার করতে শুরু করেছিল। তবে এরকম কানঘুষার মধ্যেই দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশের অবস্থান জানিয়ে দিলেন।
সৌদি আরব ও আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে কিনা জানতে চাওয়া হলে কোরেশি বলেন, আমি আমিরাতকে বলে এসেছি, ফিলিস্তিন ও কাশ্মীরের বিষয়ে পাকিস্তানি জনগণের গভীর অনুভূতি রয়েছে। তারা যে কোনো সময়ে যে কোনো সমস্যায় তাদের পাশ থেকে সরে আসবে না। কোরেশির দাবি, আমিরাত আমাদের অনুভূতি ও মনোভাব স্পষ্টই বুঝতে পেরেছে।
ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, এমন খবরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কোরেশি বলেন, আমাদের ওপর কারো কোনো চাপ নেই। তাছাড়া ফিলিস্তিনের ব্যাপারে আমরা কারো দ্বারা পরিচালিত হই না। আমাদের নিজস্ব নীতি রয়েছে।