নতুন অভিযোগে ফেঁসে যেতে পারেন সৌরভ!
এক বছর আগে সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি হওয়ার পর থেকেই দেশটির ক্রিকেটে বইছিল সুবাতাস। তবে বছর ঘুরতেই চাপের মুখে পড়ে গেছেন তিনি। বেশ কিছু বিজ্ঞাপন ও প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক এই অধিনায়কের বিরুদ্ধে উঠছে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ।
ভারতের ক্রিকেট এখন সৌরভের হাতে। তিনিই দেশটির ক্রিকেটীয় কর্মকান্ডের সর্বোচ্চ অভিভাবক। যেকোনো ক্ষেত্রে ভালো মন্দ বুঝতে হবে তাকেই। কিন্তু কলকাতার দাদাবাবু কী আদৌ বোর্ডের ভালো মন্দের তোয়াক্কা করছেন? এখন তাকি ঘিরে উঠেছে এমনই প্রশ্ন। এর পাশাপাশি বিসিসিআইয়ে সৌরভের বিরোধীদের মধ্যে দানা বাঁধছে অসন্তোষ।
বেশ বড় অংকের টাকা দিয়ে আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ড্রিম ইলেভেন। বলা হয়ে থাকে আইপিএলই বিসিসিআইয়ের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। কিন্তু বোর্ডের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও সৌরভ ড্রিম ইলেভেনের সমধর্মী একটি প্রতিষ্ঠানের স্পন্সর হয়েছেন।
এখানেই ঘটনা শেষ নয়। ভারতীয় ক্রিকেট দলের মূল স্পন্সর বাইজু’স। যা মূলত একটি শিক্ষামূলক অ্যাপ। কিন্তু সৌরভ অন্য আরেকটি শিক্ষামূলক অ্যাপের পণ্যদূত হয়েছেন। সেটাও আবার বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়ার পর।
সৌরভের বিরুদ্ধে আরেক অভিযোগ, তিনি আদানি গ্রুপের ভোজ্য তেলেরও পণ্যদূত। এদিকে আদানি গ্রুপ আবার আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনতে আগ্রহী। জেএসডব্লু সিমেন্টের পণ্যদূতও তিনি। এই প্রতিষ্ঠানের আছে আইপিএলের দল দিল্লি ক্যাপিটালসের অর্ধেক মালিকানা।
এভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ ক্রমশ সৌরভের বিরুদ্ধে দানা বাঁধছে। গুঞ্জন রয়েছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিতব্য বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সভায় সৌরভের বিরুদ্ধে বোর্ডের একাধিক কর্তা আঙুল তুলবেন। তাদের মতে সৌরভ এখন বাছবিচার না করে শুধু টাকার পেছনে ছুটছেন। অভিযোগ উঠলে বোর্ডের প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী কীভাবে সেই ধাক্কা সামাল দেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।