ব্রিটেনে নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস শনাক্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক তার দেশে নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে বলেছেন, করোনার নতুন এই প্রজাতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ব্রিটেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের বিষয়ে তিনি জনগণকে সতর্ক করেছেন। লোকজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিধি-নিষেধগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আগে যে ধরনের ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে তার চেয়ে নতুন ধরনের এই কোভিড-১৯ ভাইরাস আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এ ধরনের ভাইরাস আরও বেশি প্রাণঘাতী নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে তা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। স্কাই নিউজকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, পরিস্থিতি মারাত্মক গুরুতর। ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু না করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটেন গত সপ্তাহ থেকেই তাদের নাগরিকদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করার পর নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের খবর সামনে এলো। তবে টিকা দেয়ার সঙ্গে নতুন প্রজাতির আবির্ভাবের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
এর আগে নতুন সব বিধিনিষেধের কথা জানিয়ে শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছিলেন, নতুন প্রজাতিটি যে খুব বেশি প্রাণনাশী বা ভ্যাকসিনের সঙ্গে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এটা আরো ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
নতুন প্রজাতির এই ভাইরাসের সংক্রমণ যেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য লন্ডনসহ ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বের একটি বড় অংশ জুড়ে নতুন করে ইতোমধ্যেই কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ হয়েছে।
অপরদিকে ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি দেখা দেয়ার পর এর বিস্তার ঠেকাতে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ব্রিটেনে ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে। এর মধ্যেই ব্রিটেন থেকে ফ্লাইট বাতিল করেছে বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস। বেলজিয়ামগামী ট্রেনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাবছে জার্মানি এবং ফ্রান্সও।
নতুন প্রজাতির এই করোনাভাইরাসটি মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে। নতুন প্রজাতি নিয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একই প্রজাতির ভাইরাস পাওয়া গেছে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়াতেও। ।