ব্রিটেনে শুরু ‘টিকা উৎসব’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
করোনাভাইরাস মহামারির অবসান ঘটার প্রথম পদক্ষেপ নিলো ব্রিটেন। মহামারি শুরুর এক বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে টিকার অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। মঙ্গলবার থেকে সেখানে শুরু হচ্ছে গণহারে করোনা টিকাদান উৎসব। দেশটি এই দিনটিকে ‘ভি-ডে’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
টিকা দেয়ার আগে ব্রিটেনে রীতিমতো উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পর্যন্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জনসন বলে দিয়েছেন, ভ্যাকসিন কারো জন্য বাধ্যতামূলক নয়। তবে সবার নেয়া উচিত। খবর বিবিসির
খবরে বলা হয়েছে, শুরুতে ৮০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দিচ্ছে ব্রিটেন। মোট ৭০টি হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। গত সপ্তাহে দেশটি ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি একটি ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন এই রোগে যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। মহামারী প্রতিরোধের জন্য পৃথিবীতে প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটিশরাই ভ্যাকসিন নেয়া শুরু করল।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অসুস্থতার মাত্রা ও বয়স অনুযায়ী নয়টি দলে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে বাসাবাড়িতে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত কেয়ার হোমের কর্মী, ৮০ বছরের বেশি বয়সী সব প্রবীণ নাগরিক এবং স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ কর্মী। বাকি সাতটি দলে আছেন ষোলো থেকে পঁচাত্তরের বেশি বয়সী নাগরিকেরা।
তবে সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটেনের এক-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ টিকা নিতেই আগ্রহী নন। প্রায় ৩৫ শতাংশ ব্রিটিশ বলছেন, তাদের টিকা নেয়ার সম্ভাবনা নেই। ৪৮ শতাংশের আশঙ্কা, এই টিকা নিরাপদ হবে না। এটি কার্যকর হবে না বলে মনে করে ৪৭ শতাংশ। আর ৫৫ শতাংশ বলছেন, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে।
গড়ে দেশটির প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনেরও বেশি মানুষ বলছে, করোনা টিকা যদি সত্যি সত্যি পাওয়া যায় তো ভালো। কিন্তু তাদের টিকা নেয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।