প্রতিদিন ৫০ লাখ লিটার সুপেয় পানির চাহিদা মেটাবে মোংলা বন্দর
নিউজ ডেস্ক:
প্রতিদিন ৫০ লাখ লিটার সুপেয় পানির চাহিদা মেটাবে মোংলা বন্দর। এ পানিতে শিপিং ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারীসহ আগত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের নাবিকসহ বন্দরের আশপাশের প্রতিষ্ঠানসহ স্থানীয় সুপেয় পানির চাহিদা মিটবে। এ লক্ষ্যে ‘সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ নামের একটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সূত্র জানায়, ১৯৫০ সালে সৃষ্টি হয় মোংলা বন্দর। এরপর থেকে বন্দর সংলগ্ন শিল্পাঞ্চলের সব প্রতিষ্ঠানে খুলনা থেকে সুপেয় পানি এনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এখনো বন্দর এলাকায় সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। মোংলা পোর্ট পৌরসভার বাসিন্দারাও রয়েছে সুপেয় পানির সংকটে। কারণ, সমুদ্র থেকে সরাসরি নদীতে লবণ পানি ঢুকে পড়ায় বৃষ্টির পানিই মোংলা বন্দর ও বন্দর সংশ্লিষ্ট মানুষদের একমাত্র ভরসা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন্দরের শিল্পাঞ্চলে মধ্যে মোংলা বন্দর ভবন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের দিগরাজ মোড়ে ৩৩ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব ও আধুনিক সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান।
সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম গাইন বলেন, প্লান্টের কনস্ট্রাকশন কাজ ৩৫ শতাংশের মতো সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হলেও গত বছরের শেষের দিকে প্রকল্পটির পানির রিজার্ভের পাইলিং ও বাউন্ডারি ওয়ালের কাজও শুরু হয়। এখন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে জুনের মধ্যে প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে করোনার প্রার্দুভাবের কারণে বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকায় একটু সময় বেশি লাগতে পারে।
এ প্রকল্প নির্মাণে ২৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে প্রতিদিন ৫০ লাখ লিটার সুপেয় পানি উত্তোলন করা যাবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, বন্দর সৃষ্টির পর থেকে এখনো পর্যন্ত বন্দরসহ উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় সুপেয় পানির চরম সংকট রয়েছে। মোংলা বন্দর এখন অনেক আধুনিক বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। বন্দরে দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন-নির্গমনের ফলে জাহাজের সংখ্যাও সৃষ্টির রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তাই বন্দর ও এসব বাণিজ্যিক জাহাজের নাবিকদের জন্য খুলনা থেকে সুপেয় পানি এনে তা সরবরাহ করা হতো। এ সমস্যার কথা বিবেচনা করে মোংলা বন্দর স্থায়ীভাবে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নামের একটি বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে শুধু বন্দর নয়, বন্দর সংশ্লিষ্ট শিল্পাঞ্চল ও বন্দরের আশপাশের এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ করা হবে।