আশাশুনির সাবেক শিবিরের সভাপতি সেই মাসুদ এবার নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশের খাঁচায়
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আশাশুনি ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ অবশেষে একটি
ইভটিজিং মামলায় অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছে। মাসুদ আশাশুনি সদরের গফ্ফার
সরদার (মুন্সীর) ছেলে ও আশাশুনি সরকারি কলেজের প্রভাষক।
শুক্রবার দুপুরে আশাশুনির শ্রীউলা চৌধুরী মোড় থেকে স্থানীয় জনতা তাকে আটক
করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আশাশুনি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান জানান, শুক্রবার
দুপুরে মাসুদ পাশ্ববর্তী কালিগঞ্জের বাঁশতলা এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে
চান্দুলিয়া এলাকার এক ব্যক্তির নবম শ্রেণি পড়–য়া কন্যার সাথে একা পেয়ে
অশালীণ আচরণ করে। মেয়েটি সাথে সাথে তার পিতাকে মোবাইলে বিষয়টি জানায়।
সাথে সাথে তার পিতা স্থানীয় লোকজন সাথে নিয়ে শ্রীউলা চৌধুরী মোড়ে অবস্থান
নেন। মাসুদ মটরসাইকেলে পৌছানোর সাথে সাথে স্থানীয় জনতা তাকে আটকে পুলিশে
খবর দেয়। পরে পুলিশ সেখানে পৌছে তাকে থানা হেফাজতে নেন। এঘটনায় ওই ছাত্রী
নিজে বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০৮(১১)২০ নং
মামলা দায়ের করে। পুলিশ তার বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ও মটরসাইকেল জব্দ
করেছে।
উল্লেখ্য, শিবিরের এক সময়ের দূর্ধর্ষ ক্যাডার মাসুদ ইতিপূর্বে বহু নাশকতা ঘটনার সাথে যুক্ত ছিল। কিন্তু সে পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে মামলা মোকদ্দমা থেকে বেঁচে যায়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, মাসুদ ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল আশাশুনি উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি থাকাকালীন তার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমানসহ একাধিক শিবির নেতা সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর কবরস্থান সংলগ্ন মুকুলের বাড়িতে গোপন বৈঠক চলাকালে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আমিনুর নিহত হয়।
সেসময় আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়। সেখান থেকে হাত বোমাসহ বেশকিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন মাসুদ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এছাড়া আশাশুনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন জামায়াতের অফিস থেকে লাঠিসোটা লোহার রডসহ বিভিন্ন বইপত্র রাতের আধারে সরিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে পুকুরের মধ্যে ফেলে রাখে। পরে পুলিশ সেখান থেকে তা উদ্ধার করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনাসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসি জানান