শেষ হলো সংসদের বিশেষ অধিবেশন
নিউজ ডেস্ক:
শেষ হলো দেশের ইতিহাসে সংসদের প্রথম বিশেষ অধিবেশন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এই বিশেষ অধিবেশনে প্রথম এবং শেষ চার কার্যদিবস চলে সাধারণ অধিবেশনের মতোই।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে অধিবেশনের সমাপনী সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করে শোনানোর মধ্য দিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
গত ৮ নভেম্বর শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ১০ কার্যদিবস এ অধিবেশনে চলে।
এর আগে, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংসদে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী প্রস্তাব পাসের সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অধিবেশন কক্ষে শোনানো হয়।
৯ নভেম্বর অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মারক বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওইদিনই জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে সংসদে একটি প্রস্তাব আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেই প্রস্তাব নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতাসহ সরকারি ও বিরোধী দলীয় ৭৯ সংসদ সদস্য এর ওপর ১৯ ঘণ্টা ৩ মিনিট আলোচনা করেন।
১৫ নভেম্বর সংসদে সেই প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়। এর পরের দিন থেকে সংসদের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়।
করোনাকালের আগের তিনটি অধিবেশনের মতো এবারো সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অধিবেশনের কার্যক্রম চলে।
এই অধিবেশনে মোট ৯টি সরকারি বিল পাস হয়েছে।
সমাপ্তি-সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির ঘোষণা পাঠের আগে স্পিকার বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের এ বিশেষ অধিবেশন বাংলাদেশ ও দেশের সংসদীয় ইতিহাসে এক বিরাট মাইলফলক হয়ে থাকবে।
এ সময় তিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় সঠিক দিকনির্দেশনা, গতিশীল নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের জন্য গৌরব ও সম্মান বয়ে আনার জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
সংসদ পরিচালনায় সহায়তা প্রদানের জন্য সংসদ উপনেতা, মন্ত্রিসভার সদস্যরা, চিফ হুইপ ও হুইপরা এবং সব সংসদ সদস্যের প্রতি স্পিকার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বিরোধীদলীয় নেতা, উপনেতা ও বিরোধীদলের সংসদ সদস্যদেরও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি ডেপুটি স্পিকার ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
এ ছাড়া তিনি সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, গণমাধ্যমের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
স্পিকার আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হবে। –বাসস