আশাশুনিতে থামছে না জুয়ার আসর

জি এম মুজিবুর রহমান:

আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুজা পার্বন, খেলা ও অনুষ্ঠানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে জুয়া খেলা বসিয়ে কাচা টাকা আয়ে পারদর্শি জুয়া সম্রাট শহিদুল, আজিজ ও খোকনসহ তাদের সহযোগিরা থামতে চাইছে না। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলেও তারা জুয়ার আসর বসিয়ে গর্জিয়াস স্টাইলে কাজ চালিয়ে যাওয়ার তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।

পুলিশ, প্রশাসন, জন প্রতিনিধিদের শক্ত অবস্থানের কারণে দীর্ঘদিন জুয়াড়ীরা থমকে ছিল। কিন্তু করোনার ছোবলে ও সুপার সাইক্লোনের তান্ডবে উপজেলার মানুষ যখন সীমাহীন অভাব ও কষ্টে জীবন যাপন করছে তখন, জুয়াড়ীরা দম্ভভরে মাঠে নেমেছে। শ্রীউলা ইউনিয়নের পুঁইজালা বাজারে শ্যামাকালী পূঁজা অনুষ্ঠানের অন্তরালে পুলিশ পূজা অনুষ্ঠানের শান্তি শৃংখলা রক্ষায় ব্যস্ত থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাজার সংলগ্ন এলাকায় জুয়ার আসর বসিয়েছিল তারা। এর কয়েকদিন আগে শোভনালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সাহেব বগুড়ায় থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে জোয়ার আসর বসিয়েছিল। এনিয়ে সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনার একাধিক পত্রিকায় ফলাও করে খবর প্রকাশিত হয়েছিল বুধবার ও বৃহস্পতিবার। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তারা গা ঢাকা দিলেও রাতের বেলায় আবার কাচা টাকার কারবার- জুয়ার আসর বসাতে বুধবার রাতে তৎপর হয়। সাংবাদিকরা তাদের বিরুদ্ধে যত পারে খবর লিখুক, তাতে কিছুই হবেনা। এতে তাদের কিছু এসে যায়না। তারা প্রশাসন, জন প্রতিনিধি, এমনকি অনেককে ম্যানেজ করে জুয়া খেলার আসার বসিয়ে থাকে। লোক দেখানোর জন্য তারা (প্রশাসনসহ অন্যরা) পদক্ষেপ নিলেও শেষ পর্যন্ত যে কোন স্থানে ঠিকই খেলা চলবে। এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বাক্যবান ছুড়ে তারা জুয়ার আসর পরিচালনা করতে পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে থাকতে চাইছে। আর তাই বুধবার আশাশুনি সদর ইউনিয়নের কমলাপুরে জুয়াড়াীরা একত্রিত হয়ে জুয়ার আসর বসালে স্থানীয় ও উপজেলা পর্যায়ের সচেতন রাজনীতিবীদ, জেলা পর্যায়ের রাজনীতিবীদ ও সাংবাদিক মহল খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ জানান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছুক্ষণ খেলা চলার পর জুয়ার আসর বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু জুয়া স¤্রাটরা থেমে থাকেনি। তারা গোপনে গোপনে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে জায়গা বদল করে কারবার পরিচালনা করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার, প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেখানে মাদক ও জুূয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ও জিরো টলারেন্স অবস্থায় রয়েছেন, সেখানে কতিপয় জুয়াড়ীরা কিভাবে ও কেমন করে আশাশুনিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও সোচ্ছার হচ্ছে সেটি শান্তিপ্রিয় মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রথম নিউজের সময় ওসি গোলাম কবিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের খবর আমার জানা নেই। যদি কেউ এ ধরনের অপরাধ করে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)