জোয়ার ভাটার প্রভাবে প্রতাপনগরে মারা যাচ্ছে বৃক্ষ:দু:খ দুর্দশায় জর্জরিত ইউনিয়নের প্লাবিত মানুষ
নিউজ ডেস্ক:
গত ২০ মে প্রলয়ঙ্কারী সুপার সাইক্লোন আম্পানে প্রতাপনগর ইউনিয়নের পাউবো’র বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়।
সেই থেকে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর লবণাক্ত বিষাক্ত পানির জোয়ার ভাটার স্রোত দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে ইউনিয়নবাসীকে নাস্তানাবুদ করে চলেছে। ইউনিয়নের প্লাবিত মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে দু:খ দুর্দশায় জর্জরিত হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করে আসছে।
মানুষের বসত ঘরবাড়ি, রান্নার চুলা-কাঠ, টিউবওয়েল, লেট্রিন ব্যবস্থা, যাতয়াতের পথ জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। মানুষের দুর্ভোগের সীমা পরিসীমা নেই বললেই চলে। প্রতিনিয়ত জোয়ার ভাটার পানিতে এখনো মানুষের ঘরবাড়ি, জমিজমা নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। প্রতাপনগর দক্ষিণ অংশের বসতবাড়ির জমি, ফসলাদি, বিল-মৎস্য ঘেরের জমি জোয়ার ভাটার পানি উঠানামার কারণে গভীর খালের সৃষ্টি হয়েছে ও হচ্ছে। দীর্ঘ ৬ মাস ধরে প্রতাপনগরে নিয়মিত জোয়ার ভাটা চলার ফলে মারা যাচ্ছে সকল প্রকার বৃক্ষ।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য যে কোনো দেশের ২৫% ভূমিতে বনজঙ্গল থাকা দরকার। বর্তমানে দেশে বনভূমির পরিমাণ সরকারিভাবে ১৭% উলে¬খ থাকলেও বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে বাস্তবে রয়েছে ৮-১০% ভাগ। প্রতি বছর দেশে ১.৪৭% হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বসতি স্থাপন এবং শিল্পায়নের ফলে ১% হারে আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস ও ৩.৩% হারে বন নিধন হচ্ছে। তাই অতিদ্রুত প্রতাপনগরে যদি একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ না দেওয়া হয় মরুভূমি হয়ে যাবে সমগ্র এলাকা। এতে মানবসভ্যতার উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।