প্রবাসীর স্ত্রীকে মাইক্রোবাসে তুলে ধর্ষণ
ডেস্ক নিউজ:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে নাঈম মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাঈম পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ফালু মিয়ার ছেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসীর হাতে আটকের পর নাঈমকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ধর্ষিতা গৃহবধূ একই এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে নাঈমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষণকারী যুবক ও ধর্ষিতা গৃহবধূর পৈতৃক বাড়ি ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর গ্রামে। তাদের উভয়ের পরিবার শহরের আমলাপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। নাঈম পেশায় গাড়িচালক। গৃহবধূ স্থানীয় একটি কয়েল কারখানায় কাজ করেন। গৃহবধূ ও নাঈম পূর্ব পরিচিত।
গৃহবধূর পরিবার অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গৃহবধূ কাজ শেষে কারখানা থেকে বাসায় ফেরার সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লক্ষ্মীপুর এলাকার আবেদীন হাসপাতালের কাছ থেকে নাঈম তাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এ সময় জনি নামে এক যুবক ও গাড়িটির চালক নাঈমকে সহযোগিতা করে।
পরে তাকে পাশের জেলা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রামে নিয়ে মাইক্রোবাসের ভেতর নাঈম তাকে ধর্ষণ করে। ওইদিন রাত ৯টার দিকে ভৈরব শহরের নিউটাউন এলাকার রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে নাঈম গাড়িসহ পালিয়ে যায়। পরে বাসায় পৌঁছে পরিবারের কাছে ঘটনা খুলে বলে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন বুধবার সন্ধ্যায় নাঈমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধর্ষণের অভিযোগে নাঈম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করতে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।