ডিসেম্বরে শুরু হচ্ছে কর্ণফুলী টানেলের দ্বিতীয় টিউব বসানোর কাজ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেলের মূল নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে টানেলের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বরে শুরু হবে দ্বিতীয় টিউব বসানোর কাজ।
২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এমনটিই আশা করছেন দেশের প্রথম টানেল প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
কর্ণফুলী টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬০ শতাংশ। একটি টিউব বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় তথা শেষ টিউব বসানোর কাজ শুরু হবে।
চট্টগ্রাম শহর প্রান্ত থেকে আনোয়ারা উপজেলা পর্যন্ত টিউব নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী মাসের (ডিসেম্বর) মাঝামাঝি সময়ে আনোয়ারা প্রান্ত থেকে শহরমুখী দ্বিতীয় টিউব বসানোর কাজ শুরু হবে। টানেলের দুই প্রান্তে বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। এছাড়া পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী সংযোগ সড়ক, সেতু ও ওভারপাস নির্মাণের কাজও চলছে দ্রুতগতিতে।
চীনের সাংহাই নগরীর আদলে চট্টগ্রাম নগরী ও আনোয়ারায় হচ্ছে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। টানেলের একপ্রান্তে থাকছে আনোয়ারার ভারী শিল্প এলাকা, অন্যপ্রান্তে চট্টগ্রাম নগরী, বিমান ও সমুদ্রবন্দর। তিন দশমিক চার কিলোমিটার টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায়।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর। এরপরই শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। এই প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার ও চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ২০২২ সালের মধ্যে টানেলটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি চালু হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম তথা দেশের অর্থনীতি। শিল্প কারখানা ও পর্যটন শিল্পে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।