মৃত্যু দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত মিন্নির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট
নিউজ ডেস্কঃ
বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যু দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার ৫০ হাজার টাকার অর্থ-দণ্ডাদেশ স্থগিত করেছে আদালত।
বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে মিন্নির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না।
গত ৪ অক্টোবর বরগুনার রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিসহ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ছয় আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।
এর আগে, ৩০ সেপ্টেম্বর এই মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ আসামিকে মৃত্যু দণ্ডাদেশ দেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একইসঙ্গে চারজনকে খালাস দেয়া হয়।
মুত্যু দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।
এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে খালাসের আদেশ দেন আদালত। তারা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন বিচারিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুই ভাগে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও তার সঙ্গীরা। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এর মধ্যে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয়ন বন্ড নিহত হন।
এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।