এক দিনেই ৬০ হাজার কোটি টাকা হারালেন মুকেশ আম্বানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে হ্রাস পেয়েছে জ্বালানী তেলের চাহিদা। আর এ ঘটনার প্রভাব পড়েছে এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ ধনী রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মুকেশ আম্বানির সম্পদে। মাত্র একদিনেই তিনি হারিয়েছেন সাত হাজার ৩০০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ব্লুমবার্গ জানায়, লকডাউনে মুকেশের ডিজিটাল ব্যবসা লাভের মুখ দেখলেও তেল শোধনাগার সংস্থাগুলি নিট মুনাফা হারানোয় রিলায়্যান্সের শেয়ার ৮ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ভারতের শেয়ার বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যায়। এ ধাক্কায় মুকেশের সম্পত্তি কমে যায় ৭ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
রিলায়্যান্সের শেয়ারে পতনের আঁচ লেগেছে মুম্বাইয়ের শেয়ার বাজারের সূচক বিএসি সেনসেক্স-এও। এদিন ওই সময় তা নেমে যায় ০ দশমিক ৪ শতাংশে।
শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গত মার্চের পর থেকে এখনো পর্যন্ত তেলের বাজারে মুনাফার নিরিখে মুকেশের জন্য সবচেয়ে খারাপ দিনটা ছিল এ দিন। ১২ মে-র পর থেকে রিলায়্যান্সের শেয়ার সবচেয়ে নিচে নেমে যায় আজ। পাশাপাশি, ২০ জুলাইয়ের পর এ দিন ওই সংস্থার শেয়ারের দাম সবচেয়ে কমে যায়।
শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় রিলায়্যান্সের ত্রৈমাসিক মুনাফা ১৫ শতাংশ নিচে নেমে যায়। ফলে সংস্থার ১৩০ কোটি ডলারের লোকসান হয়েছিল। মূলত, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় লকডাউন চলাকালীন যানবাহন কম চলায় বিশ্বজুড়েই তেলের চাহিদা তলানিতে। তার জেরে রিলায়্যান্সের তেলের ব্যবসায় ধাক্কা লেগেছে। সংস্থার মুনাফা পড়েছে ২৪ শতাংশ। লকডাউন চলাকালীন অপরিশোধিত তেল পরিশোধনের মাধ্যমে তা জ্বালানিতে পরিণত করার ক্ষেত্রে ব্যারেল প্রতি গ্রস মুনাফা কমেছে ৫.৭ ডলার। গত বছরে তা ছিল প্রতি ব্যারেল ৯ দশমিক ৪ ডলার।
তবে পেট্রোকেম ব্যবসায় ধাক্কা লাগলেও লকডাউনের সময়ই ডিজিটাল সংস্থায় একের পর এক নয়া বিনিয়োগ টেনে এনেছে রিলায়্যান্স জিয়ো। বস্তুত, ওই সময় রিলায়্যান্সের টেলিকম শাখা রিলায়্যান্স জিয়োর নিট মুনাফা তিন গুণ বেড়েছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মুনাফা হয়েছে ২৮৪৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি, গ্রাহক পিছু আয়ও বেড়েছে জিয়োর।
জিয়ো জানিয়েছে, ২০১৯-২০ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গ্রাহক পিছু তাদের আয় ছিল ১২৭ দশমিক ৪ টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৪৫ টাকা। ই-কমার্স ব্যবসার হাত ধরেও নতুন উদ্যোগে ময়দানে নেমেছেন ৬৩ বছরের মুকেশ।