ইরফান ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে আরো ৪ মামলা

ডেস্ক নিউজ:

ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মো. ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে আরো দুটি মামলা করেছে র‍্যাব। একই আইনে তার দেহরক্ষী মো. জাহিদের বিরুদ্ধেও পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে।

চকবাজার থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর চকবাজার থানায় ইরফান ও তার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মোট ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন অনুমোদনহীন জিনিস উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে অবৈধ বিদেশি অস্ত্র, এয়ারগান, বেশকিছু বিদেশি মদ, ইয়াবা, ৩৮টি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে দুটি, দুটি করে মোট চারটি মামলা করবে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে তার ছেলে ইরফান ও তার কতিপয় সঙ্গী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে ঘটনাটি ঘটে।

রাতেই এ বিষয়ে জিডি এবং সোমবার ভোরে ইরফান সেলিমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এতে ইরফান সেলিম (৩৭), তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ (৩৫), হাজী সেলিমের মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ (৩০) অজ্ঞাতপরিচয়ের দু-তিনজনকে আসামি করা হয়।

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় চকবাজারের ২৬ দেবিদাস ঘাট ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’ নামক হাজী সেলিমের বাড়িতে র‌্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট, র‌্যাব-৩ ও র‌্যাব-১০ এর সদস্যরা অভিযান চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মো. জাহিদকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)