প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর সংবাদপত্র হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের শপথ
শহর প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদর সংবাদপত্র হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা শুধুমাত্র পত্রিকা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয় না। তারা সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে ধর্ষণ প্রতিরোধ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধসহ অসুস্থ মানুষের পাশে এসে চিকিৎসা সেবা পেতে সহায়তা করে থাকে। সংগঠণটির প্রতিষ্ঠার এক বছর পুর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোডের মোড়ে বৃহষ্পতিবার সকালে এক শপথ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সাতক্ষীরা সদর সংবাদপত্র হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক সাবান আলীর সভাপতিত্বে শপথ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদস্য সচিব মোঃ আলাউদ্দিন, সদস্য মকবুল হোসেন, ইউনুছ আলী, শাহাদাৎ হোসেন, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
তারা বলেন, অভাব অনটনের মধ্যে জীবনযাত্রা চালাতে হলেও হকাররা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি অবিচল। পত্রিকা সম্পাদক ও পত্রিকা পরিবেশকরা তাদের কখনো শত্র“ হতে পারে না। কতিপয় হকার ভাইয়েরা পত্রিকার বিল পরিশোধ নিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে অহেতুক ঝামলায় জড়িয়ে পড়ে নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা সংগঠণের বদনাম করছে। এটা তাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। তবে হকারদের সুখ দূঃখের সাথী হয়ে পত্রিকার মালিকপক্ষ না চললে পত্রিকা গ্রাহক পরিষেবা বিপন্ন হবে এটা ভেবে দেখতে হবে। কারণে অকারণে হকাররা বারে বারে নির্যাতিত হবে সেটাও কাম্য হতে পারে না।
তারা আরো বলেন, প্রতিদিন ভোরে গ্রাহকদের কাছে কাগজ দেওয়ার আগে নিজেরাই পড়ে দেখেন ধর্ষণ আর ধর্ষণ। বখাটে, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মাদ্রাসা শিক্ষক, শিক্ষক থেকে চাকুরিজীবী ও ব্যবসায়িসহ অনেকের নাম ধর্ষক হিসেবে ছাপা হচ্ছে। এটা লজ্জার। ধর্ষণ প্রতিরোধে সরকার ইতিমধ্যে নতুন আইনে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে। তাতেও ধর্ষণ কমছে না। করোনার কারণে ঘরে বসে ফেইসবুকে নোংরা অশ্লীল ছবি দেখার কুফল বাস্তবে প্রতিফলন ঘটছে। এখন শিশু ও কিশোররাই ধর্ষণে এগিয়ে যাচ্ছে। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা দ্রুত বিচার আইনে নিষ্পত্তি করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যারা অসহায় হয়ে শহরের অলিতে গলিতে পড়ে থাকেন তাদের চিকিৎসা সুবিধার জন্য হকাররাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে। যারা মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
পরে হকাররা যে কোন অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে শপথ নেন।
শপথ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ রোকনুজ্জামান, আক্তার হোসেন, সোলাইমান বাবু, সরোয়ার হোসেন, মোঃ মনিরুজ্জামান, ওসমান গণি, আরিফুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুস সালাম(১), মোঃ একরামুল, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ সেলিম, মোঃ আখলেছুর রহমান, আব্দুস সালাম (২), আজানুর হোসেন, শাহীনুর রহমান, আব্দুস সামাদ ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল।