কলারোয়ায় আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন
কলারোয়া প্রতিনিধিঃ
কলারোয়ায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে পশুহাট মোড়স্থ আওয়ামী লীগ কার্যালযে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক খাইবার হোসেন বলেন, গত ১৪ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ সম্মুখে স,ম মোরশেদ আলী বিভিন্ন এলাকা থেকে গত সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতাকারী, চিহ্নিত মাদকসেবীদের একত্রিত করে পথ সভার নামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনকে পরিকল্পিতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসে নৌকার বিরোধিতাকারী আখ্যায়িত করে যে মিথ্যাচার করেছে আমিসহ দলের নেতা-কর্মীবৃন্দ তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি বলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কখনোই নৌকার বিপক্ষে ছিল না বরং তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে গত দুটি সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি উপজেলা নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও তুলে ধরেন যে, গত দুটি সংসদ নির্বাচনে স,ম মোরশেদ আলীর বড় ভাই সরদার মুজিব ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে হরিণ ও সিংহ মার্কায় ভোট করেছিলেন । সেই ভোটে স,ম মোরশেদ আলী নৌকা প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । বরাবরের ন্যায় স,ম মোরশেদরা উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের প্রতিদ্বন্দ্বি বিরোধী প্রার্থীর প্রতীক আনারসের পক্ষে নির্বাচন করেছিল। শুধু তাই নই, ২০১৩ সালের নাশকতাকারী, নেত্রীর গাড়িবহরে হামলা মামলার আসামিদের নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে বিরুপ মন্তব্য, নৌকার কর্মীদের মারধরসহ অর্ধ শত কর্মীদের পঙ্গু করে দিয়েছিলেন। সেটির স্ব-চিত্র প্রতিবেদন দলীয়ভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দকে অবগত করানো হয়েছে। কেরালকাতা উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স,ম মোরশেদ আলী নৌকা প্রতীক নিয়ে তার নির্বাচনি প্রচারণায় জামাত, বিএনপি নেতা-কর্মীসহ নেত্রীর গাড়ি বহরে হামলা-মামলার অন্যতম আসামি জহুরুল ইসলামকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই সুযোগে আওয়ামী লীগ বিরোধীরা সু-কৌশলে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিদ্রোহী প্রার্থী কলারোয়া উপজেলার সরকারি কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার ও নানান অভিযোগের ভিত্তিতে এল,জি,ই,ডি মন্ত্রণালয় কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করেছেন। গত উপজেলা নির্বাচনে সেই নৌকার বিরোধী প্রার্থী কেরালকাতা ইউনিয়নের কাজীরহাট বাজারে পথ সভার নামে পরিকল্পিতভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির নামে বিষোদগার করে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এছাড়া স.ম মোরশেদ আলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গত দিনের নৌকার বিরোধিতাকারীদের নিয়ে কেরালকাতা ইউনিয়নে ভোট করায় এবং দলীয় সভাপতির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিষোদগার করায় দলীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়েছে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন দলীয় সভার আহবান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের নৌকা প্রতীককে জয়ী করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সব শেষে লিখিত বক্তব্যে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত, উদ্দেশ্যমূলক বিরোধিতা থেকে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীবৃন্দ।
Please follow and like us: