কলারোয়ায় একই পরিবারে চার জনকে গলাকেটে হত্যা: শিশু মারিয়ার দায়িত্ব নিলেন ডিসি
কামরুল হাসান:
হাজারো মানুষের ভিড়ে মা-বাবার মায়া মমতা আর নির্ভরতার পরশ খুঁজে ফিরছে সদ্য এতিম হওয়া কলারোয়ার নিষ্পাপ শিশু ৬মাসের মারিয়া। সবাই জানলেও সে জানেনা বা বোঝেনা তার এই জীবনে আর কখনো পাবেনা মা-বাবার আদরমাখা স্নেহের পরশ। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে মা-বাবা ও ভাই-বোন হারা ৬ মাস বয়সী অবুঝ শিশু মারিয়া সুলতানার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সাতক্ষীরা মানবিক জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। তিনি শিশু মারিয়া সুলতানাকে হেলাতলা ইউপির ৪, ৫ ও ৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য নাসিমা খাতুনের জিম্মায় রেখেছেন । এখন থেকে তার চিকিৎসা এবং জীবন গড়ার যাবতীয় দায়িত্ব জেলা প্রশাসক গ্রহণ করেছেন বলে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যেয়ে তিনি ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, কলারোয়ায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের জীবিত একমাত্র চার মাসের কন্যাশিশুর দায়িত্ব নিয়ে আপাতত দেখাশোনার জন্য স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুনের কাছে রাখা হয়েছে। তাকে সাময়িকভাবে দেখভাল করতে অনুরোধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে অভিভাবকরা দাবি করলে আইনানুগভাবে সমাধান করা হবে। এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী জেরীন কান্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আক্তার হোসেন শিশু মারিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শিশু খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী নয়ে হাজির হন ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুনের বাড়িতে। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে ইউএনও মৌসুমী জেরীন কান্তা মাতৃস্নেহের পরম আবেশে বুকে তুলে নেন সবহারা এতিম শিশু মারিয়াকে। যেনো সবার সামনে সত্যি হিসেবে উঠে আসলো যার কেউ নেই তার আল্লাহ আছে। এদিকে, তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য জননেতা অ্যাড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ কলারোয়ার এমন বর্বর হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন নিহতদের বাড়িতে। তিনি এ সময় সদ্য এতিম হওয়া শিশুটির খোঁজ খবর নেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোররাতে কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামে একই পরিবারের ৪ জনকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ঘাতকরা মা-বাবা, ভাই-বোনকে হত্যা করে তাদের রক্তাক্ত নিথর দেহের পাশে চিরদিনের জন্য এতিম করে রেখে যায় ৬ মাস বয়সী মারিয়াকে।