আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন ১৫ হাজার নারী-পুরুষ
ডেস্ক নিউজ:
হাতে-কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের ১৫ হাজার নারী ও পুরুষকে দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ফলে শ্রমবাজারে দক্ষ শ্রমশক্তির সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এর মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনও সহায়ক হবে।
এ লক্ষ্যে ‘হাতে কলমে কারিগরি প্রশিক্ষণে মহিলাদের গুরুত্ব দিয়ে বিটাকের কার্যক্রম সম্প্রসারণপূর্বক আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন (ফেজ-২)’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা।
শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮-তে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরি দক্ষ জনবল সৃষ্টির বিষয়টি ছিলো। প্রকল্পটি সরকারের নেয়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ।
সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পটি আপাতত ঢাকা বিভাগের অধীন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন চাঁদপুর পৌরসভা, পাহাড়তলী ও খুলনা বিভাগের অধীন ফুলতলা এবং রাজশাহী বিভাগের বগুড়া সদরে বাস্তবায়িত হবে। এতে সরকারের নিজস্ব তহবিলের ১২৩ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে কাগজে-কলমে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বিটাক। ৬ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে। এটি ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দবিহীন নতুন অননুমোদিত প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, বিটাক ঢাকা (তেজগাঁও) কেন্দ্রে নিজস্ব জায়গায় ১০ তলা (মোট ৫৭ হাজার ৮০০ বর্গফুট) ভবনে একটি পুরুষ হোস্টেল নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও বিটাক ঢাকা কেন্দ্রে বিদ্যমান ছয়তলা ভিতসম্পন্ন নারী হোস্টেলের ষষ্ঠতলার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ (মোট ৭ হাজার ২৬৭ দশমিক ৩০ বর্গফুট) করা হবে।
এই প্রকল্প মেয়াদে বিভিন্ন ট্রেডে ১৫ হাজার নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রভাব নিরূপণে গবেষণা পরিচালনা করা হবে। নির্মিতব্য দশতলা হোস্টেল ভবনের জন্য আসবাবপত্র, ডাটাবেজ সফটওয়্যার উন্নয়ন, কম্পিউটার এবং যন্ত্রাংশ এবং দুটি ভবনের জন্য তিনটি লিফট কেনা হবে।
এ প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জানান, জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতের পরিকল্পিত প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এসব অর্থনৈতিক জোনে এরইমধ্যে দেশি-বিদেশি সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা শিল্প স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাজার চাহিদাভিত্তিক বিভিন্ন ট্রেডে নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করবে, যা নতুন শিল্প কারখানায় দক্ষ জনবলের চাহিদা পূরণসহ বেকার জনশক্তির আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।