গোদাড়া আল মাদানী দাখিল মাদরাসায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া আল মাদানী দাখিল মাদরাসায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মাদারাসা কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, সুপার আবুল ফারাহ মোঃ শফিউল আলম, সহ-সুপার আঃ বারী, মেম্বার আঃ হান্নান, সদস্য আঃ মান্নান গাইন, রুহুল আমিন, আবু মুছা, শিক্ষক প্রতিনিধিসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সভায় আলোচকবৃন্দ বলেন, সুপার ২৮ বছর চাকুরি করছেন, তার বিরুদ্ধে একটিও অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। এ পর্যন্ত নিয়োগে তিনি এক কাপ চাও খাননি। শিক্ষকদের বেতনের টাকা দিয়ে মাদরাসার সিংহ ভাগ খরচ নির্বাহ হয়ে থাকে। ১১/১১/৯৬ তাং তৎকালীন ফোরকানিয়া মাদারাসা কমিটির সভায় আজিজ সরদারসহ সকল সদস্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফোরকানিয়া মাদরাসাকে দাখিল মাদরাসায় রূপান্তর এবং ফোরকানিয়ার সকল সম্পদ দাখিল মাদরাসায় দেওয়া হয়। সেই থেকে দাখিল মাদরাসা চলে আসছে। মাদরাসার নামীয় ৪ বিঘা জমির মধ্যে একবিঘা জমি (বিলান) আনার আলি সরদারকে এবং আনার আলী সরদারের মাদরাসা ভবন সংলগ্ন জমি মাদরাসার নামে এ্যাওয়াজ করা হয় ১৯৯৭ সালে। সুপার ও আনার আলী এ্যাওয়াজ দলিলে স্বাক্ষর করেন। সেই থেকে জমি এ্যাওয়াজ অনুযায়ী পরস্পরের দখলে আছে ও ভোগজাত করা হচ্ছে। উক্ত জমিসহ মাদরাসার সকল জমি মাদরাসার নামে রেকর্ড ও চেক দাখিলা হালনাগাদ আছে। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির কুপরামর্শে আনার আলী ২০০৪ সালে আদালতে সিআরপি ৪১৮ নং কেস করেন। মামলা খারিজ হয়ে যায়। ২০০৮ সালে পুনরায় সিআরপি ২৭৮ নং কেস করেন। সেটিও খারিজ হয়ে যায়। এরপর ২০১০ সালে দেং ৫৩/১০ নং মামলা করলে মামলাটি চলমান আছে এবং ১০/১০/২০ তাং সরকারি কৌশলী ও সার্ভেয়ার সরেজমিন মাপ জরিপে আসার দিন ধার্য আছে। এরপর ২০১৫ সালে রেকর্ড সংশোধনের জন্য ১৪৬২ নং মামলা করেন আজিজ সানা। যা চলমান আছে। অপরদিকে নজরুল ইসলাম গাইন বাদী হয়ে ৩১৭/১৭ নং পৃথক রেকর্ড সংশোধনী মামলা করেছেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ২০১৭ থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত তাদের বিলান ৩ বিঘা জমি হাবিবুর রহমানের কাছে হারির বিনিময়ে ডিড প্রদান করেন। মেয়াদ শেষ হলে ২০২০ সাল থেকে পুনরায় ৩ বছরের জন্য হাবিবকে ডিড প্রদান করা হয়। তিনি ৩/৪ মাস দখলীকার থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষরা জমি জবর দখল করে নিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন সুপার। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে তদন্ত হয়নি। বাধ্য হয়ে এএসপি (দেবাহটা সার্কেল) বরাবর অভিযোগ করা হলে ৪/৭/২০ তাং নোটিশ প্রদান করেন কিন্তু বিবাদী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তদন্তের দিন স্থগিত করা হলেও এখনো দিন দেওয়া হয়নি।
বক্তারা আরও বলেন, মাদারাসার স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য ১০/৮/২০ তাং দু’টি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিরাপত্তা প্রহরী পদে ১৩জন ও আয়া পদে ৮জন আবেদন করেন। যার মধ্যে গোদাড়া গ্রামেরই (৩+২) ৫জন আছেন। এরপর কেবল যাচাই বাছাই হয়েছে। এব্যাপারে তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করবেন বলে ঘোষণা করেন।