এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: সাইফুরের পর এবার অর্জুন গ্রেফতার
নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি এম. সাইফুর রহমানের পর এবার চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার সকালে হবিগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার অর্জুন লস্কর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম মরিচা এলাকার কানু লস্করের ছেলে
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার সোনাপুরের চান্দাইপাড়ার মো. তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদ নগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগুনীপাড়া গ্রামের শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান মাসুম।
এর আগে শুক্রবার রাতে স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়। আসামিরা ওই তরুণীকে এমসি কলেজের মূল ফটক থেকে তুলে হোস্টেলে নিয়ে যায়। পরে সেখানে একটি কক্ষের সামনে স্বামীকে বেঁধে তাকে গণধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পরই ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ। রাত ২টার দিকে এমসি কলেজ হোস্টেলে সাইফুর রহমানের কক্ষে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার রুম থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি চাকুসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে শাহপরাণ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা করেছে পুলিশ।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ আহমদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া দায়িত্ব পালনে গাফিলতির কারণে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।