অ্যাড. আব্দুর রহিমের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
আসাদুজ্জামান:
সাতক্ষীরার ভূমিহীন আন্দোলনসহ নাগরিক অধিকার ভিত্তিক বিভিন্ন আন্দোলনের নেতা, বিশিষ্ঠ রাজনীতিবীদ, ভাষা সৈনিক এড. আব্দুর রহিমের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির পুরাতন ভবনে এ উপলক্ষে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি শেখ আজাহার হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বারবার নির্বাচিত সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্ঠা কাজী রিয়াজ, জেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা বাসদের সংগঠক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, জেএসডির জেলা সম্পাদক সুধাংশু শেখর সরকার, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, জাতীয় পাটির নেতা আনোয়ার জাহিদ তপন, সাতক্ষীরা সরকারী মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী প্রমুখ। স্মরণ সভা পরিচালনা করেন জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবলু ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যখন সারা বিশ্ব মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত তখন আমাদের দেশে উন্নয়নের গতি অব্যাহত রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক হলেও আমরা অনেকে দুর্নীতিগ্রস্ত। আজ রিজেন্টের সাহেদের মত কুলাঙ্গাররা দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করছে। স্বাস্থ্যের গাড়ি চালক শত শত কোটি টাকার মালিক। স্বাস্থ্য বিভাগ ও ওয়াপদার দুর্নীতির কথা একটা শিশুও বলতে পারে। অনেক জনপ্রতিনিধিরা দুর্র্নীতি করছে। রিলিফের চাল চুরি করে খাচ্ছে। তিনি হ্যামারের মাধ্যমে ধাক্কা দিয়ে জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তিনি এব্যাপারে প্রয়াত আব্দুর রহিমের জীবন ও কর্ম হতে শিক্ষা নেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, যেখানেই অন্যাই সেখানেই ছিলেন আব্দুর রহিম। সারা জীবন তিনি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।
স্মরণ সভার অন্যান্য বক্তারা বলেন, জলাবদ্ধতায় সাতক্ষীরা শহরের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে বহু এলাকায় জোয়ার-ভাটা প্রবাহিত হচ্ছে। শহরে খাল খননের নামে শত শত ব্যবসায়ীকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হচ্ছে। দুই একজন জনপ্রতিনিধির লাগামহীন দুর্নীতি সাতক্ষীরার বহু মানুষকে সর্বশান্ত করছে। চর দখলের মত বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান দখলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। টয়লেট-বাথরুম পর্যন্ত নিস্তার পাচ্ছেনা। টাকা ছাড়া কোন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। স্মরণসভা থেকে সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়নে জেলা নাগরিক কমিটি ঘোষিত ২১ দফা দাবীর স্বপক্ষে জোর আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানানো হয়।