কলারোয়ায় একাধিক ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
কামরুল হাসান,কলারোয়াঃ
কলরোয়ায় এক তরুণীর পিত্তথলি কেটে ফেলার ঘটনায় ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেছেন বিজ্ঞ ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় একাধিক ক্লিনিকে অনিয়ম ও নিবন্ধন না থাকায় ক্লিনিক মালিকদের জরিমানা করা হয়।
কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে এই অভিযান চালানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পক্ষে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মাহদী আল মাসুদ বলেন, কলারোয়া পৌরসদরের কলারোয়া শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডাক্তার ইসমাইল হোসেন ও তার ক্লিনিকে সংঘটিত অপ্রয়োজনীয় অপারেশন করে হাজেরা খাতুন(১৮)নামে এক তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে অনলাইনে করা আবেদন অনুযায়ী ক্লিনিকে ১০টি বেড থাকার কথা। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিয়ম না মেনে ৩১ টি বেড রেখে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। অভিযানের সময় মোবাইল কোর্টের কাছে ২৮টির মধ্যে ১৮টি বেড গোপন রাখেন তারা। অথচ অভিযান পরিচালনার সময় ২৮টি বেডে রোগী ভর্তি পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও মেডিকেল ডাক্তার, সহকারী মেডিকেল অফিসার, ডিপ্লোমা নার্স, প্যাথলজিষ্ট না থাকায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ৪০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সঙ্গে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ৭২ঘন্টার ভেতর সরকারি নীতিমালার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করার নির্দেশ প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রয়োজনীয় কাগজ, ডাক্তার, নার্সসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ৭২ঘন্টার ভেতরে দেখাতে ব্যর্থ হলে ক্লিনিকে অবস্থানরত রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি পূর্বক ক্লিনিক বন্ধের ব্যবস্থা করতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তার হোসেন।এ সময় পৌরসদরের খাদ্যগুদাম মোড়ে অবস্থিত হাফিজা ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের সময় মোবাইল কোর্টের উপস্থিতিতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সরকারি নিয়ম বহির্ভূতভাবে মেডিকেল ডাক্তার, সহকারী মেডিকেল অফিসার, ডিপ্লোমা নার্স, প্যাথলজিষ্ট না থাকায় ক্লিনিক কতৃপক্ষ কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তার হোসেনের নির্দেশনা নিশ্চিত করে জানান কলারোয়া শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের অনিয়ম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে আগামী ৭২ঘন্টার ভেতর সরকারি নীতিমালার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করার নির্দেশ প্রদান করে প্রয়োজনীয় কাগজ, ডাক্তার, নার্সসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ৭২ঘন্টার ভেতরে দেখাতে ব্যর্থ হলে ক্লিনিকে অবস্থানরত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি পূর্বক ক্লিনিক বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধ ও নামধারী এসকল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান৷