অনলাইনেই মিলবে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের কর সনদ
নিউজ ডেস্ক:
সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের কর সনদপত্রের কপি এখন থেকে ই-মেইলের মাধ্যমেই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। এতে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সঞ্চয়পত্র কেনার সময় গ্রাহক আবেদন ফর্মে যে ই-মেইল ঠিকানাটি ব্যবহার করেছেন, সেই ই-মেইল ঠিকানায় কর সনদপত্রটি পাঠানো হবে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, সঞ্চয়পত্র গ্রাহকদের কর সনদপত্র অনলাইনে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। কর সনদপত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঠানোর জন্য এরইমধ্যে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন দেয়ার সময় সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের কর সনদপত্রের কপি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দিতে হয়। ই-মেইলের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র গ্রাহককে কর সনদপত্র পেলে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য ব্যাংক অথবা জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে যেতে হবে না। এতে গ্রাহকের ভোগান্তি কমবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) সঞ্চয়পত্র ক্রেতাদের দুর্ভোগ কাটাতে অনলাইনে সনদপত্র প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশনার পাওয়ার পরে খুব দ্রুততম সময়ে সেবাটি দেয়ার জন্য এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন সিস্টেমস ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড সার্পোট ডিপার্টমেন্ট সঞ্চয়পত্র পোর্টাল নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছে।
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের প্রতি বছর আয়কর রিটার্নের সঙ্গে তাদের কর সনদপত্রের একটি অনুলিপি জমা দিতে হয়। প্রতি বছর সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদফতর এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রিকারী ব্যাংকগুলো এই সনদপত্র দেয়। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা অর্থের সুদ থেকে উৎসে কর কেটে নেয়া হয়েছে বলে সনদে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানিয়েছে যে গ্রাহকের ই-মেইলে কর সনদপত্র পাঠানো ছাড়াও গ্রাহক নিজের মতো করে ওয়েবসাইটে লগইন করে সনদপত্রটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারবেন, এমন ব্যবস্থা থাকবে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ পর্যন্ত বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সফটওয়্যারে জমা রয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের মালিকদের কর সনদপত্র ই-মেইল করা সম্ভব হবে।