আজ সাবেক ছাত্রনেতা আমানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী
স্টাফ রিপোর্টার:
৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালের এই দিনে দলীয় কোন্দলে প্রতিপক্ষের হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান। আমানউল্লাহ আমানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
https://www.facebook.com/1097067257079185/videos/928170170997748/
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, আমান হত্যার দীর্ঘ ১৪ মাস পর ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ৫ দফায় তদন্তকারি কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর অবশেষে ডিবি পুলিশের এসআই আবুল কাশেম ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে প্রথম এজাহারে ৫৩জন ও পরে সম্পূরক এজাহারে আরও ২৩ জনকে সংযুক্ত করতে দ্বিতীয় দফায় এজাহার দাখিল করা হয়। এছাড়াও পুলিশী তদন্তে অতিরিক্ত ১৪ জনকে সংযুক্ত করে মোট ৯০ জনের নামে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপত্র নং-৮৫৮ তাং-২৯.১০.১৪।মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ছিলেন এসআই আবুল কাশেম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার সময় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ শিল্পকলা একাডেমি ভবনে জেলা বিএনপির এক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন জেলা বিএনপির কর্মী সভায় সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব গ্রুপের সাথে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইফতেখার আলী গ্রুপের সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় হামলাকারিরা দা, হাসুয়া, লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে নীরিহ নেতাকর্মীদের মারপিট শুরু করে। এই সংঘর্ষে জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্যাহ আমান হামলার শিকার হন। তার মাথায় কোপের পাশাপাশি পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ হামলায় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়।
আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গুরুতর আহত জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তার অবস্থার ক্রমাবনতি হলে তাকে খুলনা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে নেয়ার পথে বিকাল ৪টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, ’৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা, সাতক্ষীরা জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান (৪৪)। নিহত আমানউল্লাহ শহরের পুরাতন সাতক্ষীরার মরহুম আজিজুর রহমানের ছেলে।
এঘটনার পরদিন নিহত আমানউল্যাহ আমানের মা ফতেমা খাতুন বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে প্রধান আসামী করে ৫৩ জনকে জ্ঞাত ও শতাধিক সন্ত্রাসীকে অজ্ঞাত দেখিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই সাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা আমান হত্যা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সকল আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠণ করে আদালত। বর্তমানে মামলাটির বিচার কার্যক্রম স্থগিত আছে।