সাতক্ষীরায় মিলি ও তার স্বামী বেস্টটীম এডমিন মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে থানায় ৩ টি মামলা দায়ের
আসাদুজ্জামান:
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতির পদ হতে বেস্টটীমের আহবায়ক এড. শাহানাজ পারভীন মিলিকে বহিস্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদা আক্তার বানু ও সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে বহিস্কার করা হয়।
উক্ত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, এড. শাহানাজ পারভীন মিলি মহিলা আওয়ামীলীগে দলীয় পদ ব্যবহার করে জেলা ব্যাপি সংগঠণ বিরোধী এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছেন। বার বার তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা শর্তেও তিনিসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী গত ২৮ আগস্ট শিবপুরের পরানদহা গ্রামের ট্রলি চালক আলমগীর হোসেনের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটসহ জীবননাশের হুমকি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের নিদের্শ মোতাবেক তাকে বহিস্কার হয়।
এদিকে, ট্রলি চালক আলমগীর হোসেনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এবং সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মাহফুজা রুবির স্বামী শেখ হালিম টুটুলের ছবি ব্যবহার করে অবৈধ বেষ্ট টীম নামে ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে সম্মান হানি করার অভিযোগে বেষ্টটীমের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী এড. শাহানাজ পারভিন মিলিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। সদর উপজেলারর পরানদহ গ্রামের আলমগীর হোসেন ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহফুজা সুলতারা রুবি বাদি হয়ে রোববার ও গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর থানায় এ মামলা দুটি দায়ের করেন। এছাড়া মোস্তাফিজের ডোপ টেষ্টে মাদক সেবনের রিপোর্ট পাওয়ায় পুলিশ বাদি হয়ে রাতেই তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এ সব মামলায় দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান বিশ্বাসের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী বহিষ্কৃত আওয়ামীলীগ নেত্রী জেলা পরিষদ সদস্য এড. শাহানাজ পারভিন মিলিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২২ আগষ্ট ও ২৪ আগষ্ট সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে জেলা পরিষদ সদস্য মাহফুজা সুলতানা রুবি বাদি হয়ে মঙ্গলবার ২০১৮ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ২৫(২)/২৯(১)/৩১(২) ধারায় মোস্তাফিজ ও মিলিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (১নং) দায়ের করেন। এর আগে গত ২৮ আগষ্ট ট্রলি চালক আলমগীর হোসেনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আলমগীর নিজে বাদী হয়ে উক্ত ৫ জনের বিরুদ্ধে গত রোববার মামলা দায়ের করেন। এছাড়া সর্বশেষ মোস্তাফিজের ডোপ টেষ্টে মাদক সেবনের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় পুলিশ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।