আশাশুনির দু’হাজার পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসক
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ২০০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। সোমবার সকালে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন, এলাকার মানুষের সাথে মতবিনিময় এবং ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রচুর বৃষ্টিপাতে প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের একাধিক স্থানে পাউবো’র ভেড়ী বাঁধ ও রিং বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়। ইউনিয়ন ৩টির ৪৮টি গ্রামের ৮০ সহ¯্রাধিক মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসক প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের বিভিন্ন ভাঙ্গন কবলিত মানুষের সাথে দেখা করে তাদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। আশ্রয় কেন্দ্র ও বিভিন্ন সড়কে, বাধের উপরে আশ্রয় নেওয়া ২০০০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি ত্রাণের চাউল বিতরণ উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসক উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এলাকার মানুষ বিপর্যস্ত। সরকার অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল বাঁধে কাজ করা সম্ভব নয়, এজন্য মানুষের দুর্দশা লাঘবে রিং বাঁধ আটকাতে হবে।
এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সর্বাত্মক ভূমিকায় কাজ এগিয়ে নিতে হবে। মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা ও স্যানিটেশনের ব্যাপারে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। ত্রাণ যথাযথ ভাবে বিতরণ করা হবে। কেউ নয়ছয় করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসুন আমরা একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি। জেলা প্রশাসক সড়ক, নৌ ও পায়ে হেটে বিভিন্ন স্থানে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণের চাউল করেন। এসময় আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান, ট্যাগ অফিসার বৃদ্ধ, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, ইউপি সচিব ও ইউপি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।