স্বাভাবিক হচ্ছে বিয়েসহ সব সামাজিক অনুষ্ঠান

দেশে করোনা সংক্রমণের বিস্তাররোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বিয়েসহ সব সামাজিক অনুষ্ঠান পালনে ছিলো বিধি নিষেধ। লকডাউন তুলে দেয়ার পর আবারো বিয়েসহ সামাজিক আনুষ্ঠানিকতা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় এখন রাজধানীসহ সারাদেশের পাঁচ তারকা হোটেলের হলরুম, কমিউনিটি সেন্টার ও রেস্টুরেন্টে অল্প অতিথির উপস্থিতিতে চলছে এসব সামাজিক অনুষ্ঠান। বিশেষ করে ঈদুল আজহার পরে এসব অনুষ্ঠান আয়োজনে স্বাভাবিক গতি ফিরে পেয়েছে বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিয়ে-শাদির বিষয়টি এরইমধ্যে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এছাড়াও সুন্নতে খাতনা, জন্মদিন, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই।

যাদের ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করার ইচ্ছা আছে তারা এখন শুধু স্বল্প পরিসরে কাবিনের কাজটুকু সেরে রাখছেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বড় অনুষ্ঠান করবেন।

এছাড়া ঘরের আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খুব বেশি অতিথি আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ না থাকায় নিকটাত্মীয়দের উপস্থিতিতেই করোনাকালে বিয়ের আয়োজন শেষ করতে হচ্ছে। আর যারা করোনাকালে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারছেন না তারা প্রযুক্তিকে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে বর-কনের প্রতি শুভকামনা জানাচ্ছেন।

রবিউল ইসলাম রবিনের সঙ্গে চলতি মাসেই বিবাহে আবদ্ধ হন জান্নাতুল ফেরদাউস। গত এপ্রিলে বিয়ে ঠিক করা হলেও মহামারির কারণে শেষ পর্যন্ত ঈদুল আজহার পর বিয়ের কাজ সারেন এই দম্পতি।

জানতে চাইলেন জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, রাজধানীর মিরপুরে পিন্স কমিউনিটি সেন্টারে গত এপ্রিলেই বিয়ের জন্য বুকিং দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু পরে সেটি বাতিল করা হয়েছে। পরে দুই পক্ষের ইচ্ছায় নিজেদের বাসায় ঘরোয়া পরিবেশেই বিয়ের আয়োজন শেষ করি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বড় পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজনের ইচ্ছা আছে।

রাজধানীর কয়েকজন কাজীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সময় রেস্টুরেন্ট কমিউনিটি সেন্টারগুলোর থেকে বাসাবাড়িতে বেশিরভাগ বিয়ের অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে হচ্ছে।

তারা জানায়, এই সময়ের মধ্যে যারা বিয়ে করছেন তারা বেশিরভাগই শুধুমাত্র বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে রাখছেন। পরবর্তীতে বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠানের চিন্তাভাবনা রয়েছে তাদের।

উত্তরা কাজী অফিসের কাজী হাফেজ তানভীর বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মার্চের শেষ থেকে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা ছিলো। কিন্তু ঈদুল আজহার পর থেকে বিয়ের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শুক্রবারে পাঁচটি কাজ শেষ করেছি। এর মধ্যে ৩টি কমিউনিটি সেন্টারের আর বাকিগুলো বাসায়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)